সংবাদদাতা, রামপুরহাট: শুক্রবার বিকেলে মল্লারপুরের নিমিতলা মাঠে বিজেপির পাল্টা সভা করল তৃণমূল। এই সভায় প্রচুর মানুষ হাজির হন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, আপনারা আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি করেছেন। তাতে আমরা গর্বিত। কিন্তু অন্যদিকে নীতি আয়োগ কমিটি বলে দিয়েছে, বাজেটের ১৫ শতাংশ তপশিলি জাতি উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। তার মধ্যে আদিবাসীদের জন্য ৮.২ শতাংশ। কিন্তু আপনারা ৭ শতাংশই খরচ করতে পারছ না। আর আপনারা বলছেন, ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মহিলাদের দু’ হাজার টাকা করে দেবেন। আপনারা সারা ভারতবর্ষে স্কিম চালু করে মহিলাদের হাজার টাকা করে দিতেই পারেন। কে থামাচ্ছে আপনাদের। আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছি বলে আপনারা জ্বলেপুড়ে মরছেন। এরকম অল ইন্ডিয়া কার্ড করেন না কেন। তিনি আরও বলেন, ওদের মাথায় রাম, সীতা, হনুমান ছাড়া কিছুই নেই। ওরা আর কী উন্নয়ন করবে। ওরা যেখানেই যায় সেখানেই হিন্দু মুসলমান ভাগ করার চেষ্টা করে। বিজেপিকে ভয় পাবেন না। ওরা হচ্ছে খেঁকশিয়ালের দল। সিংহের গর্জন শুনলে লেজ গুটিয়ে পালায়। ওদের সামনে বাঘিনী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির চিতা জ্বালাতে পারে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম না করে তাঁর সমালোচনা করেন সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। যতই বদনাম হোক। সত্যি মিথ্যার ভিড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও একইভাবে জনপ্রিয়। জনসভায় এত মানুষ উপস্থিত হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতি আপানাদের বিশ্বাস, ভরসা অটুট রয়েছে। তিনি যে মানুষের জন্য কাজ করেন। ফলে কারা এসে কী বলল সেটা বড় কথা নয়। আপনি এই সরকার থেকে কী পাচ্ছেন, কারা আপনাদের পাশে থাকে, বুঝে তাঁদেরই ভোট দেবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আর এক সাংসদ অসিত মাল ও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলীয় বিধায়ক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মল্লারপুরে তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। -নিজস্ব চিত্র