মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
চা মালিক সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, জেলার ২৫-৩০টি চা বাগান জলমগ্ন। পলি, বালি ঢুকে বাগানগুলির ক্ষতি হয়েছে। জল জমে থাকায় মাটি নরম হয়ে চা গাছের শিকড় আলগা হচ্ছে। বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও কয়েক দিন ধরে রোদের দেখা নেই। জমা জলে চা গাছের গোড়ায় পচা রোগ দেখা দিচ্ছে। রোদ থাকলে এই পরিস্থিতি হতো না।
বাগান মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালচিনির তোর্সা নদীর দু’পাশে থাকা প্রচুর চা বাগানে জল জমে আছে। বাগানের জমিতে ভাঙনও শুরু হয়েছে। এছাড়াও কুমারগ্রামের রহিমাবাদ চা বাগানের শ্রমিক মহল্লাতে জল ঢুকে পড়েছে। গত বছরই কালচিনির মেচপাড়া চা বাগানে বাঁধ ভেঙে পানা নদীর জল ঢুকে গিয়েছিল। হাসিমারা বায়ুসেনার জওয়ানরা শ্রমিকদের উদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু পানার সেই ভাঙা বাঁধের অংশ আজও মেরামত হয়নি। যদিও সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশকুমার সিং বলেন, টাকা মঞ্জুর হয়েছে। বর্ষার পরেই মেচপাড়ায় পানা বাঁধের কাজ শুরু হবে।
এদিকে, তুলসীপাড়া, জয় বীরপাড়া ও আর্যমান সহ মাদারিহাট ব্লকের বেশকিছু চা বাগান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কালচিনির মাঝেরডাবরি চা বাগান থেকেও জমা জল নামছে না। ইন্ডিয়ান টি প্লান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডুয়ার্স শাখার সচিব রামঅবতার শর্মা বলেন, বাগানগুলিতে লুপার ও হেলোপেলটিস সহ নানা ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের উপদ্রব শুরু হয়েছে। কিন্তু কীটনাশক স্প্রে করে কোনও লাভই হচ্ছে না। বৃষ্টির ঝাঁপটায় ও জমা জলে সব ধুয়ে যাচ্ছে।