কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
নির্বাচনের আগে মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদ্যদের নিয়মিত দপ্তরে আসতে বলেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। কিন্তু কে শোনে কার কথা? ফলে নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত জনগণ জবাব দিয়েছেন ভোটবাক্সে। এটা স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই।
২০২২ সালের আগস্টে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। সমিতির ১৫টি আসনের মধ্যে তারা ১২টিতে জয়লাভ করে। বিজেপির দখলে যায় মাত্র ৩টি আসন। ১২ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের মধ্যে প্রতিমা রায় সভাপতি ও ভোলা ঘোষ সহকারী সভাপতি নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, অভিজিৎ পাল (পূর্ত) তাপসী সিনহা (কৃষি), গৌরী দে (শিক্ষা), লালবাহাদুর লামা (বিদ্যুৎ), সন্তোষ চৌধুরী (বন ও ভূমি), মনমায়া শর্মা (নারী ও শিশু), হরিনাথ শর্মা (জলসম্পদ), কল্পনা দাশগুপ্ত (প্রাণিসম্পদ), দিলা শৈব্যকে (খাদ্যদপ্তর) কর্মাধক্ষ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত সমিতির এই পরিকাঠামোয় সভাপতি প্রতিমা রায়কে মাঝেমধ্যে সমিতির অফিসে দেখা যেত। যা নিয়ে তাঁকে বেশ কয়েকবার জেলা সভানেত্রীর ধমক খেতে হয়েছে। যদিও, পরবর্তীতে নিয়ে সমিতিতে সময় দিচ্ছেন। সহকারী সভাপতি ভোলা ঘোষ ও পূর্তকর্মাধ্যক্ষ অভিজিৎ পালকে নিয়মিত সমিতির অফিসে দেখা যায়। তবে বাকি আট কর্মাধ্যক্ষ যেন ডুমুরের ফুল। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এদের টিকির নাগাল পাওয়া দুষ্কর। নিজেদের বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে আসা ব্লকের বাসিন্দারা সমিতির অফিসে এসে কর্মাধ্যক্ষদের দেখা না পেয়ে কার্যত হতাশ। অনেকেই ভুলে গিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির পথ।
পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি কিংবা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অভিজিৎ পালের দাবি, আমরা মানুষের পরিষেবায় দায়বদ্ধ। আমাদের ভোট দিয়ে মানুষ বোর্ডে এনেছেন। তাই নিয়মিত অফিসে আসতে হয়। কিন্তু যাঁরা আসছেন না, তাঁদের নিয়মিত অফিসে আসা উচিত। না হলে পঞ্চায়েত সমিতি থাকার মানেই হয় না। এ বিষয়ে দলেও নালিশ করা হয়েছে।