কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হোটেল দু’টির পিছনে ওই জলাভূমির একাংশ দখল করে এই বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছিল। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিয়ে সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকদের প্রশাসন থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জলাভূমির উপর ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেন। সেখানে স্থানীয় কাউন্সিলার আনন্দ জয়সওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডই নয়। শহরের আরও কোন কোন ওয়ার্ডে জলাভূমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে, প্রশাসন তার তালিকাও প্রস্তুত করে ফেলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও কিছু জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক বাড়ি, হোটেল, দোকানপাট এমনকী নার্সিংহোম পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে। অভিযোগ, এভাবে জলাভূমিগুলি বেহাত হওয়ার পিছনে শাসক দলের একাংশ নেতার হাত রয়েছে।
মহকুমা শাসক বলেন, ভূমি দপ্তর থেকে বেদখল হওয়া আরও কয়েকটি জলাভূমির তালিকা চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই জলাশয়গুলির দখলদারি হটাতে অভিযান শুরু করা হবে। জলাশয় ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ বা দখলদারি আর কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, শহরে জমি হাঙররা খাস জমির চরিত্র বদল করছে। চরিত্র বদল করে রাতারাতি সেই জমি বাস্তু জমিতে বদল করা হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে প্রশাসন এবার এই অনিয়মও খতিয়ে দেখুক। জলাভূমি থেকে বেআইনি দখলদারি হটাতে প্রশাসনের এই অভিযান সম্পর্কে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, জেলা প্রশাসন এই অভিযান শুরু করেছে। পুরসভা তাতে সহযোগিতা করছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার শহরের জলাভূমিগুলি পরিদর্শন করেন বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। পরিদর্শনের পর বিধায়ক জানিয়েছিলেন জলাভূমিগুলি সংরক্ষণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জলাভূমিগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটন, বিনোদন বা মৎস্য চাষের উপর জোর দিতে হবে। তারপরেই জলাভূমিতে প্রশাসনের বেআইনি দখলদারী হটানোর অভিযানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।