কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
মাথাভাঙা-২ ব্লকের ফুলবাড়ি পঞ্চায়েত বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২০টিতে জয়লাভ করে। লোকসভা নির্বাচনেও এই পঞ্চায়েত ভালো ফল করে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটে পদ্ম শিবিরের পরাজয়ের পর দলবদলের হিড়িক পড়ে। এর আগেও মাথাভাঙা শহরের পার্টি অফিসে এসে দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য ও একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার ও মঙ্গলবার প্রধান ও উপপ্রধান বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে এল।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, ফুলবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান ও উপপ্রধান বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। ওরা নিজেরাই আমাদের দলে যোগদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। আমরা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে দু’জনকে দলে যোগদান করিয়েছি। জেলা সভাপতির হাত থেকে তাঁরা তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছেন।
যদিও বিজেপির মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। প্রাণভয়ে তিনি এখন মুখ খুলছেন না। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এদিন জোর করে উপপ্রধানকে কোচবিহারে নিয়ে গিয়ে দলবদল করাতে বাধ্য করা হয়েছে। তৃণমূলের এসব সন্ত্রাসের জবাব মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দেবে। প্রধান নৃপেন বিশ্বাস ও উপপ্রধান নীলিমা বর্মন জানিয়েছেন, গ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।