গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন মিছিলে প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উদয়ন গুহ, আব্দুল জলিল আহমেদ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনও উপস্থিত ছিলেন। জগদীশবাবুর মনোনয়নে প্রস্তাবক হয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহারে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি জেলায় দলের গোষ্ঠী কোন্দলও সেভাবে সামনে আসেনি। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এদিন সমস্ত নেতৃত্ব একত্রিত হয়ে যেন সেই ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তাই দিল। জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, এদিন মন্দির, মসজিদে আশীর্বাদ, দোয়া নিয়ে আমরা মনোনয়ন পত্র দিয়েছি। আমাদের জয় নিশ্চিত। কোচবিহারের মানুষ উন্নয়ন চান, শান্তি চান। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন এই যে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত এটাই তার প্রমাণ। কোচবিহারের মানুষ গুন্ডা রাজের অবসান চান। আমরা নেতৃত্বরা ঐক্যবদ্ধ। জেলাস্তর থেকে বুথস্তর পর্যন্ত আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছি। সেই ফল এবারের লোকসভা নির্বাচনেও হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে জয়ী হব। আমাদের একতা আমরা ধরে রেখেছি। মাথার উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। কখনওই একে অপরের থেকে দূরে যেতে দেবেন না। দলের বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এদিন প্রার্থীর প্রস্তাবক হয়েছেন।
গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মন বলেন, বিজেপি ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে, সেসব স্বপ্নের কথা। স্বপ্নে মানুষ ঘি খায়। কিন্তু বাস্তবে কোচবিহারের মানুষ যা দেখলেন, এখানে রাজবংশী ভাষাকে মান্যতা দেওয়া, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি, রাজবংশী ভাষায় ২০০টি প্রাথমিক স্কুলের অনুমোদন, রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি যা কিছু মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন। যা চোখে দেখা যায়। তাই একে অস্বীকার করা যায় না। তাই জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে মানুষ ভোট দেবে। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, যার যার কার্যক্রম সে তো করবেই। গাড়ি, খাওয়াদাওয়া দেবে, কিছু লোক নিয়ে আসবে এতে আর কি বলার আছে? নিজস্ব চিত্র।