গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুকান্ত ঘরের মাঠে প্রশ্নের মুখে পড়ায় খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, শুনলাম আজ বিজেপির প্রার্থীকে তাঁর ওয়ার্ডেই মহিলারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। যেভাবে কেন্দ্র গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, সাধারণ মানুষের খুব সমস্যা হচ্ছে। তাই সুকান্তের পাড়ার মেয়েরা সঠিক কাজ করেছেন। তিনি শুধু সাংসদ নন, বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। তাই এই জবাব তাঁকেই দিতে হবে।
পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডেই ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীর। সেবার তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল বিজেপি। ফলে এবার ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সুকান্ত। বালুরঘাটে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নিজের পাড়াতেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান তিনি।
নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকা নিয়ে সুকান্ত বলেন,বিধানসভায় মনে হয় না আমরা পিছিয়ে ছিলাম। পুরসভাতে পিছিয়ে ছিলাম কারণ ভোট তো ভোটের মতো হয়নি। ইভিএম মেশিন পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। গত লোকসভায় আমরা ১৭ হাজার লিড নিয়েছিলাম শহরে। পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন,আজ শুনলাম সুকান্তবাবু নিজের ওয়ার্ডেই প্রচারে বেরিয়েছিলেন। আমাদের প্রার্থী ওই ওয়ার্ডেই মিছিল করেছেন। তার অর্ধেক মানুষও বিজেপির প্রচারে ছিলেন না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অধ্যাপক হিসেবে সুকান্ত লড়াই করেছিলেন। বালুরঘাট শহর থেকেই প্রায় ১৭ হাজার ভোটে লিড ছিল বিজেপির। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হলেও সুকান্তের নিজের ওয়ার্ডেই সামান্য ভোটে পিছিয়ে যায়। তবে, পুরভোটে সুকান্তের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে লড়েন দলের প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর পুত্রবধূ প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। সেই সময় তৃণমূলের মহিলা জেলা সভাপতি ছিলেন প্রদীপ্তা। সুকান্তর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী পান ৮৭০ ভোট, আরএসপির প্রার্থী ৩৫৯ এবং বিজেপি প্রার্থী মাত্র ২৬০টি ভোট পেয়েছিলেন।