গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার দেখা গেল, গঙ্গারামপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে সারিসারি ট্রাক্টর দিয়ে বালি পাচার চলছে। সকাল থেকে নম্বরবিহীন ট্রাক্টর বালি বোঝাই করে শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করলেও পুলিস প্রশাসন থেকে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা সুদীপ্ত সিনহা রায় বলেন, ট্রাক্টরে করে শহরের ভিতর দিয়ে বালি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তার দু’ধারে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা কী করছেন বুঝতে পারছি না।
গঙ্গারামপুর ব্লকের হামজাপুর ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার এলাকা ও জাহাঙ্গীরপুর, হোসেনপুর এলাকা থেকে পুনর্ভবা নদীর বালি দেদারে তোলা হচ্ছে। যেসব এজেন্সি সরকারিভাবে রয়্যালটি দিয়ে বালি তুলছে, তারা গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে অবাধে বালি চুরি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে, মাফিয়াদের দাপট বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন।
গঙ্গারামপুর শহর এলাকায় অবাধে বালি তোলা চলতে থাকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বর্ষায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। গঙ্গারামপুর ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক গোপাল বিশ্বাস বলেন, গঙ্গারামপুর শিববাড়ি এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে যে বালি চুরি হচ্ছে, সেটি সরকারি ঘাট নয়। আমরা অভিযানে গেলেই বালি বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ে নদীর উল্টো দিক দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। হাতের সামনে যাদের পাচ্ছি, ফাইন করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য কর্মী সংকট হওয়ায় সেভাবে অভিযানে নামা যাচ্ছে না।
এদিকে গঙ্গারামপুর শহরের উপর দিয়ে অবাধে নম্বরবিহীন বালি বোঝাই ট্রাক্টর সকাল থেকে যাতায়াত করলেও গঙ্গারামপুর ট্রাফিক পুলিস নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ট্রাফিক ওসি রজত প্রধান বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নিজস্ব চিত্র।