দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
প্রেয়সীর বাড়ি চাঁচল সদরের অরবিন্দপল্লিতে। ওর বাবার নাম রিন্টু পাণ্ডে, মা পারমিতা পাণ্ডে। প্রেয়সী চাঁচল আরডি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ওর বাবা রিন্টুবাবু ক্রিকেটঅন্ত প্রাণ। পাণ্ডে বাড়িতে ক্রিকেট নিয়ে দিনের সিংহভাগ সময়ে চর্চা হয়। বছর কয়েক আগে মেয়েকে ক্রিকেট শেখাতে চাঁচল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছিলেন রিন্টুবাবু। সেখানকার কোচ রাজেশ দাসের কাছে নিয়মিত অনুশীলন করে প্রেয়সী। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ক্রিকেট খেলা রপ্ত করে নেয় সে। কোচ রাজেশবাবুর নির্দেশে খুব পরিশ্রম করে প্রেয়সী নিজের ওজন খানিকটা কমিয়েও আনে। ক্লাব স্তরের ক্রিকেট ম্যাচে নিজের সাফল্য তুলে ধরে প্রেয়সী। ধারাবাহিক সাফল্য আসতে থাকে তার। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের প্রতিভার পরিচয় সকলের সামনে হাজির করে এমন সুযোগ পায়। এরপর জাতীয় দলে খেলায় স্বপ্ন তার।
প্রেয়সীর ক্রিকেট কোচ রাজেশ দাস বলেন, মেয়েটি প্রথমদিন থেকেই ভালো অনুশীলন করছিল। ওকে যোগ্য করে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম আমি। প্রেয়সীও খুব লড়াই করে নিজেকে তৈরি করেছে। খুব ভালো ব্যাট করে, ফার্স্ট বোলিংও করতে পারে। বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছেও। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এরপর লড়বে।
প্রেয়সী বলে, এটা আমার কাছে বিশাল প্রাপ্তি। বাবা মায়ের আশীর্বাদ, কোচ রাজেশবাবুর সহযোগিতায় এমন সুযোগ এসেছে। ভবিষ্যতে দেশের হয়ে খেলতে চাই। মালদহ জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ দিলীপকুমার দে বলেন, আমরা প্রেয়সীর পাশে আছি। মেয়েটি আরও এগিয়ে যাক এটাই চাই।