দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
দুপুরে বিএসএফের পক্ষ থেকে কাঁটাতারের কাছে যেতে ছাড় দেওয়া হয়। তখন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ কাঁটাতারের দিকে ছুটতে থাকে। বাংলাদেশে থাকা আত্মীয় পরিজনদের একবার দেখার জন্য এ দিকের লোকেদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আবেগে ভেসে যান তাঁরা। কাঁটাতার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে হাজার হাজার মানুষ। একে অপরকে উপহার দেওয়ার জন্য কাঁটাতারের উপর দিয়েই বিভিন্ন সামগ্রী ছোড়াছুড়ি শুরু করে দেন তাঁরা।
অভিযোগ, সেই সময় বিএসএফের একজওয়ান লাঠি চালিয়ে লোকজনকে ছোড়াছুড়ি করতে বিরত করেন। ওই সময় একব্যক্তির কোলে থাকা একটি শিশুর গায়ে লাঠির আঘাত লাগে। এতে উত্তেজিত একাংশ জনতা ওই বিএসএফ জওয়ানের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। যদিও এ ব্যাপারে হেমতাবাদ থানা পুলিস জানায়, মিলন মেলায় যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।
মিলন মেলায় অংশ নেওয়া লোকজন জানান, করোনার জন্য দু’বছর পুজো হলেও মেলা হয়নি। কিন্তু, এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়া হয়। ওপারের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লেগেছে। মিলন মেলায় শুধু উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার নয়, মালদহ, বালুরঘাট থেকেও অনেকে এসেছিলেন। অনেকেই প্রিয়জনকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পরিজনকে না দেখে ভাঙা মন নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
মাকরহাটে মিলন মেলায় সাধারণ মানুষের ভিড়। - নিজস্ব চিত্র