দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত চকচকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় রায় বলেন, এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের ব্যবস্থা, পাকা রাস্তা, কালভার্ট সহ বিভিন্ন কাজ করেছি। তবে এটা অস্বীকার করব না এখনও বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারিনি। গ্রামের বংতি নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বর্ষায় বানভাসি হচ্ছেন না বাসিন্দারা। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ফিশ ট্যাঙ্ক নির্মাণের মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান আমরা করতে পেরেছি।
কোনামালি পেস্টারঝাড় গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব দাস সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, বাড়িতে পানীয় জল না থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাম্প বসিয়ে দেওয়ার পর আমাদের আর দূরবর্তী এলাকা থেকে জল আনতে হয় না। এলাকার রাস্তাও পাকা হয়েছে। এতে সকলেরই সুবিধা হচ্ছে।
কোনামালি পেস্টারঝাড়ের অপর একটি অংশের বাসিন্দা নেপাল রায় বলেন, বাড়িতে পানীয় জল নেই। রাস্তার কলে যে জল আসে, তা ফিল্টার করে খেতে হয়। এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হলে খুব ভালো হয়।
কোচবিহার উত্তর বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক তথা চকচকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় নাওতারা গ্রামের বাসিন্দা অজিত পাল বলেন, চকচকা গ্রাম পঞ্চায়েতটি শহর সংলগ্ন। কিন্তু, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা তীব্র। কিছু রাস্তা পাকা হলেও অনেক রাস্তা এখনও বেহাল। আমরা চাই আমাদের গ্রামের দিকেও উন্নয়ন হোক।
চকচকা গ্রাম পঞ্চায়েতে গত পাঁচবছরে ছোট ছোট বহু ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে দু’টি পিচের রাস্তা বানানো হয়েছে। মরা নাওতারা গ্রামে কালভার্ট বানানোয় এলাকার মানুষের সুবিধা হচ্ছে। তবে এখনও বেশকিছু রাস্তা বেহাল, দাবি গ্রামবাসীদের। সেগুলি পাকা করার দাবি রয়েছে।
চকচকা গ্রাম পঞ্চায়েতের খারিজা সোনারি, চাপাগুড়ি, বড়গিলা, বৈকুণ্ঠপুর, কোনামালি পেস্টারঝাড়ে পানীয় জলের জন্য সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসানো হয়েছে। একএকটি পাম্প থেকে আশাপাশের বহু মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছে। চকচকা ও কোনামালি এলাকায় দু’টি ওভারহেড রির্জাভার রয়েছে। যা দিয়ে কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা যাচ্ছে। কিন্তু, বৈকুণ্ঠপুর, তরাইগুড়ি, চাপাগুড়ি সহ বহু এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের সরবরাহ এখনও নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৯৫০ জনকে ফিশ ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা মাছ চাষ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। ছবি: প্রতিবেদক