দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো সচিত্র ভোটার তালিকা সংশোধন করতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর থেকে এই অভিযানে নেমেছে প্রতিটি জেলা প্রশাসন। তা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই কাজ পর্যালোচনা করতেই এদিন শিলিগুড়িতে আসেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তিনি স্টেট গেস্ট হাউজে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে দার্জিলিং ছাড়াও কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত সচিত্র ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। এজন্য ভোটার তালিকা নিয়ে সামার রিভিশন শুরু হয়েছে। বৈঠকে সে বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
বৈঠকে জেলা ভিত্তিক সচিত্র ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজকর্ম নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলায় দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি ও ফাঁসিদেওয়া এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। খসড়া তালিকা অনুসারে বর্তমানে জেলায় ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২লক্ষ ৫০ হাজার। এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় নাম তোলা ও সংশোধনের আবেদন পড়েছে প্রায় ২০ হাজারটি। যার অধিকাংশ পাহাড়ের দার্জিলিং ও কার্শিয়াং বিধানসভা এলাকা থেকে এসেছে। কিন্তু, সমতলভাগের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উল্লেখযোগ্য আবেদন পড়েনি।
প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য জানান, সমতলে এখন কোনও নির্বাচন নেই। সেজন্যই হয়তো ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। এজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবার বৈঠক করা হবে। এছাড়া, আজ, শনি ও কাল, রবিবার বুথে বুথে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। জেলায় বুথের সংখ্যা ১৪৩৩টি। পাশাপাশি, নতুন ভোটারদের নাম তুলতে কলেজে কলেজে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, সচিত্র ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও সংশোধনের সুযোগ এখনও রয়েছে। তাই সমস্ত যোগ্য ভোটারদের তালিকায় নাম তোলার অনুরোধ করছি। কমিশনের নির্দেশ মতো আবেদন গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, এদিনের বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, নতুন বছরে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। যাতে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে কেউ যেন ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন।
বিকালে জলপাইগুড়িতে তিন জেলার জেলাশাসক ও আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক সারলেন চিফ ইলেক্ট্রোরাল অফিসার আরিজ আফতাব। এই বৈঠকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান সহ তিন জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।