অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে এক বৈঠকে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে প্রস্তাব তোলে বিজেপির একাধিক নেতা। ঠিক হয় উত্তরবঙ্গের সাংসদদের মারফত তা পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আলোড়ন তৈরি হয় রাজ্য জুড়েই। পরবর্তীতে তা নিয়ে প্রকাশ্যেই দাবি তোলেন উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ, বেশ কয়েকজন বিধায়কও। বাংলাভাগের ওই চক্রান্তের তীব্র বিরোধীতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই ষড়যন্ত্র রুখতে তৈরি বাংলার মানুষ। এর পরই উত্তরবঙ্গ সহ রাজ্য জুড়েই বিজেপির ওই চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
এদিন কিষান কল্যাণী বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তার ছিটেফোঁটাও রাজ্যের জন্য করেনি বিজেপি। সেই খতিয়ান তুলে বলেন, উত্তরকন্যা, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ, সেতু, রাস্তা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে তৃণমূল সরকার। উদনয়বাবু বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর বিজেপি নেতারা তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উস্কানি ও প্ররোচনায় উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করার দাবি করেছে। গত দশ বছরে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের যা করেছেন তাতে কোনও অবস্থাতেই এখন আর উত্তরবঙ্গ অবহেলিত, বঞ্চিত একথা বলা যায় না। সাধারণ মানুষও তা জানেন। রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ভাগাভাগি করে যে এলাকার উন্নয়ন হয়না, এটা অসমকে দেখে বুঝেছি। বুঝতে পেরেছি। তাই আমরা বলছি, যে কোনও মূল্যে বিজেপির ওই দুরভিসন্ধি রুখব। আগামী ২০২৪ সালে বিজেপি ফের বাংলার জবাব পাবে।