অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় এরআগে তিনটি জায়গায় ক্যাম্প করে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা আছেন তাঁদের ভ্যাকসিন দিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরকে বাসিন্দাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। তাছাড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহির দত্তকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় একটি টিকাকরণ শিবিরের উদ্বোধন করায় শহরে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
স্বাস্থ্যদপ্তর নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও ওই বিতর্ক ও ঝামেলা এড়াতে এবার পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন জেলায় ভ্যাকসিনের জোগান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় পুর এলাকায় আগামী বেশকয়েক দিন বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে।
কোনও বিতর্কে না গিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের কথা চিন্তা করেই পুর এলাকায় দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহিরবাবু বলেন, এটা স্বাস্থ্যদপ্তরের খুবই ভালো উদ্যোগ। এরফলে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সুবিধা হবে। তাঁদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা অবশ্য বলেন, পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই। আসলে প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্যই পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোমবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হচ্ছে। জেলায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন এখন মজুত আছে।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ জেলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১৪ হাজার ৯৬০ ডোজ এসেছিল। তারমধ্যে ১০ হাজার ডোজ ছিল কোভিশিল্ডের। বাকি ৪ হাজার ৯৬০ ডোজ ছিল কোভ্যাকসিনের। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার জেলায় আরও নতুন করে ১৩ হাজার ৫০০ ডোজ এসেছে। যদিও এদিন যে ডোজ এসেছে তার পুরোটাই কোভিশিল্ড।
প্রসঙ্গত, জেলার অন্যান্য অংশের মতো আলিপুরদুয়ার পুর এলাকাতেও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। পুরসভার দেওয়া পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে সংক্রমিত ছিলেন মাত্র ১৬ জন।