উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কুমারগ্রাম ব্লকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামগঞ্জের অনেক রাস্তাই দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বর্ষার সময়ে কালভার্ট জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে, দু’টি গ্রামের সংযোগকারী ছোট সেতুও অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সংস্কার করা ও বানানো দরকার। কিন্তু এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কিংবা পঞ্চায়েত সমিতি কোনওরকম গরজ দেখাচ্ছে না।
ভল্কা বারোবিশা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির রেশমা কিস্কু বলেন, আমার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙে রয়েছে। কালভার্ট, নিকাশি নালার দরকার আছে। এরজন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে কতবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু উন্নয়নমূলক ওসব কাজের জন্য কোনও বরাদ্দ আসছে না। আমরা ছোটখাট কিছু কাজ নিজেদের তহবিল থেকে করে নিচ্ছি। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড়মাপের কাজের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের দরকার হয়। সেই জন্যই আমরা পঞ্চায়েত সমিতির কাছে আবেদন জানিয়েছি।
কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিরোধী বিজেপির বাবুলাল সাহা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তাদের এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তালিকা নিয়ে আবেদন করতে গেলেই ফান্ড নেই বলে একবছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতি হাত তুলে দিচ্ছে। ফলে আমাদের ব্লকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এটা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তাদের উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী।
কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূলের বিপ্লব নার্জিনারি বলেন, একবছর ধরে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে কোনও অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আমরা ব্লকের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ স্থির করেও এগতে পারছি না। এনিয়ে নিয়মিত ওপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই অর্থ বরাদ্দ হবে। টাকা এলেই তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে কাজের জন্য দেওয়া হবে।
পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, প্রায় একবছর হতে চলল তারা গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে কোনও বরাদ্দ পায়নি। যেকারণেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে তারা কাজের অনুমোদন দিতে পারছে না। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারগ্রাম ব্লকের অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ পড়ে আছে। গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে রয়েছে। কাঁচা রাস্তায় চলাচল করতে বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে। গ্রামের সব জায়গায় ছোট কংক্রিটের সেতু, কালভার্ট এখনও হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। বরাদ্দ না আসায় পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের দপ্তরে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে পাঠানো হচ্ছে।