বাংলা নিউজ এজেন্সি: শুক্রবার ময়নাগুড়িতে আলাদা মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন ও ময়নাগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি পর্যন্ত চার লেন রাস্তার কাজের সূচনার বিরুদ্ধে সরব হন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন ফালাকাটার ডাকবাংলো ময়দানে রাজনাথ সিংয়ের পাল্টা সভায় প্রধানমন্ত্রীর এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেন পর্যটনমন্ত্রী। অন্যদিকে এদিনই কোচবিহারের মাথাভাঙার পারডুবিতেও রাজনাথ সিংয়ের সভার পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেখানেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন। উল্লেখ্য, গত শনিবার ফালাকাটার রবীন্দ্রনগরে রেলের মাঠে ও মাথাভাঙার পারডুবিতে পরপর সভা করে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফালাকাটা ও পারাডুবিতে এদিন তারই পাল্টা সভা করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন ফালাকাটার সভায় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, অসম থেকে শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর পর্যন্ত ১৫৩ কিমি এই ফোর লেন রাস্তার কাজ জমির সমস্যার জন্য ফুলবাড়ি, ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়িতে আটকে ছিল। রাজ্য সরকার এই জমি সমস্যার সমাধান করাতেই দু’বছর আগে এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হওয়া সেই কাজই এদিন প্রধানমন্ত্রী আবার ময়নাগুড়িতে আলাদা মঞ্চ থেকে সূচনা করায় আমরা অবাক হয়েছি। কী করে প্রধানমন্ত্রী এই কাজ করতে পারেন?
এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন হওয়ার দিকে এগচ্ছেন বলেই এধরনের ভুল করছেন। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রতি বঞ্চনা নিয়েও ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়েও এধরনের কথা বলবেন। আমরা উপভোগ করছি। বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতেই পারেন।
এদিন ফালাকাটার সভায় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে আমরা আড়াই লক্ষ ভোটে জিতব। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই আমরা জিতব। এদিনের জনসভায় দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ফালাকাটার পর আগামী এক মাসের মধ্যে জেলার সব ব্লকে আমরা এধরনের জনসভা করব।