উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
মার্কিন কোর্টে শুনানির জন্য সোমবার ব্রিটেন থেকে রওনা হন অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু তারপরও জল্পনা থামেনি। মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে ভি জে টি ১৯৯ বিমানটি ব্যাঙ্ককের ডন মিয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটি জ্বালানি নেওয়ার জন্যই ব্যাঙ্ককে অবতরণ করেছিল কি না, সেই সন্দেহ ঘোরাফেরা করতে থাকে নেট দুনিয়ায়। অ্যাসাঞ্জের মুক্তির খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর স্ত্রী স্টেলা। সোমবার তিনি বলেন, ‘আমি উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে? বিশ্বাসই করতে পারছি না। বিশ্বাস করুন ঘোরের মধ্যে রয়েছি। অ্যাসাঞ্জ মুক্ত হবেন, ২৪ ঘণ্টা আগেও নিশ্চিত ছিলাম না।’
২০১০ সালে একের পর এক মার্কিন ক্লাসিফায়েড সামরিক নথি ফাঁস করে তোলপাড় ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর ফাঁস করা নথিতে ধরা পড়ে ইরাক এবং আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার নানা কুকীর্তি। এরমধ্যে ছিল ২০০৭ সালে বাগদাদে মার্কিন সেনার একটি অ্যাপাচে হেলিকপ্টারে হামলা। তাতে মৃত্যু হয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিক সহ ১১ জনের। এরপরই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র কুনজরে পড়ে যান তিনি। তাঁকে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। অগত্যা মার্কিন নজরজারি এড়াতে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত লন্ডনের ইকুয়াডরের দূতাবাসে আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর উপর থেকে হাত তুলে নেয় ইকুয়েডর। এরপর ব্রিটেনের বেলমার্শ জেলে ঠাঁই হয় ৫২ বছরের অ্যাসাঞ্জের। ইউকিলিকসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন মুক্ত। ১ হাজার ৯০১ দিন জেলে কাটানোর পর ২৪ জুন সকালে তিনি বেলমার্শ কারাগার ছেড়েছেন।’ আন্তর্জাতিক জনমতের চাপেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তি সম্ভব হল বলে উইকিলিকস জানিয়েছে। এরজন্য সমর্থকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন অ্যাসাঞ্জ প্রতিষ্ঠিত সংস্থা। আমেরিকা যাতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়, তার জন্য প্রথম থেকেই তদ্বির করে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ। অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে আলবানেজ বলেন, অ্যাসাঞ্জকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটেন ছেড়েছেন সেদেশের প্রতিনিধি দল।