কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হতে হবে স্কুলগুলিকেও। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আলাদা করে বৈঠক হতে পারে তাদের বাবা-মা, অভিভাবকদের সঙ্গে।
স্কুলস্তরের পড়ুয়াদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অথবা সম্ভাব্য সমস্যা দূর করার একটি অন্যতম ডিজিটাল মাধ্যম হল এই প্রশস্ত। যার পোশাকি নাম ‘প্রি-অ্যাসেসমেন্ট হোলিস্টিক স্ক্রিনিং টুল’। এর মূল উদ্যোক্তা এনসিইআরটি।
কেন এই উদ্যোগ? ২০১৯ সালের একটি দেশব্যাপী সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, প্রায় ৫৩ শতাংশ রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুদের প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি ঠিকমতো বুঝতে পারে না। অথবা বিভ্রান্ত হয়ে
পড়ে। বিশেষত মানসিক অসুস্থতা, কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যার মতো বিষয় নিয়ে তারা যথেষ্ট সচেতন নয়। দেশের প্রায় ২৪ শতাংশ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে আলাদা করে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগই করা হয়নি। কারণ তারা রেগুলার টিচার এবং স্পেশাল এডুকেটরের মধ্যে ফারাকই বুঝতে পারেনি। এই প্রেক্ষাপটে তৈরী হয় ‘প্রশস্ত’। কিন্তু ‘প্রশস্ত’ মোবাইল অ্যাপটিতে নানা জটিলতা আছে বলে অভিযোগ। যে কারণে আরও সহজবোধ্য করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এর সুবিধা পাওয়া যাবে ২৩টি ভাষায়। ফলে যেকোনও শিক্ষক, স্পেশাল এডুকেটর এবং প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে তা ব্যবহার করা তুলনায় সহজ। মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬৯ জন এই ডিজিটাল মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ‘তারে জমিন পর’-এ ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ঈশানকে রঙে-রেখায় স্বপ্ন আঁকতে শিখিয়েছিলেন অঙ্কন-শিক্ষক রামশঙ্কর নিকুম্ভ। ঈশানের মতো কয়েক লক্ষ শিশুর নিকুম্ভ স্যার হতে পারবে কি ‘প্রশস্ত’?