কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পুলিসি মর্যাদায় তার অবসরগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। তারপর আজীবন খাদ্য-চিকিৎসা সহ বাকি সুযোগ সুবিধা পাবে সে। তদন্তের কাজে অনবদ্য অবদান রাখার যোগ্য সম্মান পাবে আমৃত্যু। ছটফটে, ঈশ্বরপ্রদত্ত অনুমানশক্তির অধিকারী লিজা এখন একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। তার অবর্তমানে এই পুলিস জেলায় আসবে নতুন দুই সদস্য। জেলার পুলিস কর্তারা রাজ্যদপ্তরে নতুন কুকুর দেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তার ভিত্তিতে দু’টি কুকুরকে এখন বারাকপুর পুলিস ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসেই এখানে চলে আসার সম্ভাবনা। তারা এলে হস্তান্তর হবে ডিউটি। শেষ হবে লিজার পাঁচ বছরের গৌরবময় কর্মজীবন।
লিজার বয়স সাত পেরিয়েছে। গ্রেসের মৃত্যুর পর লিজাকে দু’জনের কাজও করতে হয়। তাদের ছিল আলাদা ঘর। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া থেকে খেলাধুলো সবই একসঙ্গে করত। যতক্ষণ এক সঙ্গে থাকত কেউ কারও সঙ্গ ছেড়ে থাকত না। সারাক্ষণই গায়ে গা লাগিয়ে ঘুরত। যখন একজন ডিউটি যেত অপরজন হয়ে পড়ত উচ্ছ্বাসহীন। সর্বক্ষণ গেটের দিকে নজর রাখত, কখন আসবে পার্টনার। এখন একটি ঘর ফাঁকা। ডিউটি না থাকলে অন্য ঘরটিতে সারাক্ষণ শুয়ে থাকে লিজা। উজ্জীবিত করার চেষ্টা সবরকমভাবে করেন পুলিসকর্মীরা। কিন্তু মনমরাভাব তার কিছুতেই কাটে না। খুনসুটি আর দৌড়দৌড়ির সময় গ্রেস মজা করে যেখানে গিয়ে লুকিয়ে থাকত। সেখানে এখন অবান্তর ঘোরে লিজা। তারপর নিজের জায়গায় এসে পায়ের উপর মুখ রেখে বসে। চোখ বন্ধই রাখে বেশিরভাগ সময়। পুলিসকর্মীরা বলেন, ‘লিজার বয়স হয়েছে। এবার বিশ্রাম নেওয়ার সময় ওর।’