মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে (২০২৩) গোটা দেশের কৃষি উন্নয়ন এবং অনুদান মিলিয়ে কৃষিমন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। গ্রামীণ ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থান ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, সামগ্রিক শিক্ষাখাতে দেওয়া হয়েছিল ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মন্ত্রক পেয়েছিল ৮৯ হাজার কোটি টাকা। আবার মোট রাজস্ব আদায়ের যে অংশ কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করা হয়, সেই হিসেবে বিগত আর্থিক বছরে উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান পেয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ ৭৫-৮০ হাজার কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশ কত পেয়েছিল? ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকা। আসলে রাজস্বের টাকা রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার জন্য অর্থ কমিশনের একটি ফর্মুলা রয়েছে। জনসংখ্যা যার অন্যতম ফ্যাক্টর। জোটধর্মকে সামনে রেখে এই নিয়মকে ছাপিয়ে যেতে চাইছেন চন্দ্রবাবু।
জানা যাচ্ছে, অমরাবতীতে রাজধানী নির্মাণ করার জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা চাইছেন চন্দ্রবাবু। এছাড়া পোলাভরম সেচপ্রকল্পের ১২ হাজার কোটি, জমে থাকা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে ১৫ হাজার কোটি টাকা (আগামী পাঁচ বছর ধরে), পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ হাজার কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আবাস যোজনা এবং পানীয় জল প্রকল্পের অর্থ। একটিমাত্র রাজ্যকে এই বিপুল অর্থবরাদ্দ কীভাবে সম্ভব? এই পরিস্থিতিতে সরকার পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদব শুক্রবারই বলেছেন, একমাসের মধ্যেই পতন হবে কেন্দ্রীয় সরকারের। শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত শনিবার বলেছেন, চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমার নিজেদের রাজ্যে মুখরক্ষা করার জন্যই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন। সুতরাং সরকার পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।