মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
রামমন্দির আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি। ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ থেকে ‘রাম রথযাত্রা’ শুরু করেছিলেন তিনি। এবার সেই গুজরাতের মাটি থেকেই রামমন্দির আন্দোলন নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার আমেদাবাদে তিনি বলেন, ‘অযোধ্যায় বিজেপিকে হারিয়ে একদা আদবানির শুরু করা রামমন্দির আন্দোলনকে পরাস্ত করেছে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। গুজরাতের আগামী বিধানসভা ভোটেও বিজেপির জন্য একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ্য থেকেই এদিন তাঁকে তুলোধোনা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। রাহুলের খোঁচা, ‘মোদিজি অযোধ্যা থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সমীক্ষকরা তাঁকে আটকান। বলেন, হেরে যাবেন, আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যা থেকে লড়েননি। বারাণসীতেই প্রার্থী হন তিনি। সামান্য ব্যবধানে জেতেন। আমাদের কিছু ভুল হয়েছিল। তা নাহলে বারাণসী থেকেও আমরা তাঁকে হারাতাম।’
গুজরাতের পার্টি কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাহুল। বলেন, ‘সংসদে আমি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি কি সত্যিই রক্ত-মাংসের মানুষ? কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেন, তিনি জৈবিক নন, ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ঈশ্বরের সঙ্গে সত্যিই সরাসরি যোগাযোগ থাকলে অযোধ্যায় হারলেন কীভাবে? প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, একমাত্র তিনি ছাড়া বাদবাকি সবাই জৈবিক। গুজরাতের মানুষ, গান্ধীজি, ভারতের কৃষক ও শ্রমিক সবাই রক্তে মাংসে তৈরি। একমাত্র তিনিই আর সবার মতো জৈবিক নন। যিনি শ্রমিককের কষ্ট বোঝেন না, হীরে শিল্পে কর্মরতদের যন্ত্রণা বোঝান না, তিনি গুজরাতের মানুষকে নীতিকথা শোনান কীভাবে?