গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালোগামে বেশ কয়েকটি পরিবারের বাস। রয়েছেন বহু ভোটারও। তবে তাঁরা আশপাশের বুথে নাম নথিভুক্ত করে নিয়েছেন। কেবল বাদ রয়েছেন সোকেলা। তিনিই কেবল মালোগাম বুথের ভোটার। তাঁর সেই ভোট গ্রহণের জন্য দুর্গম পথ অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে একদিন ধরে হেঁটে পোলিং টিম হাউলিয়াং থেকে মালোগাম পৌঁছয়। এরপর নিয়ম মতো সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুথ খোলা রাখতে হয়। ভোটকর্মীরা জানেনও না সোকেলা কখন ভোট দিতে আসবেন। তাছাড়া সোকেলা সবসময় ওই গ্রামে থাকেনও না। তাঁর ছেলে ও মেয়ে দূরের কলেজে পড়াশোনা করেন। সোকেলা বলেন, ‘গ্রামে আমি থাকিই না। কেবল ভোটের সময় বা কোনও কাজ থাকলে আমি গ্রামে ফিরি।’
নির্বাচন কমিশনের নথি বলছে, দেশের নানা দুর্গম প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে সোকেলার মতো বহু ভোটার। ঘন জঙ্গল, বরফ ঢাকা পর্বতমালা, নদী, পার হয়ে তাঁদের কাছে পৌঁছতে হয়। এরজন্য কর্মীদের কখনও লাইফ জ্যাকেট, কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেক করে ইভিএম নিয়ে সেই ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হয়। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোট গ্রহণকেন্দ্র লাহুল-স্পিতির তাশিগং। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর গ্রামের ৫২ জন ভোটারই ভোট দিয়েছিলেন। এবার গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরের ৫০ হাজার ঘরছাড়া মানুষও ভোট দেবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ ৯৪টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই তৎপরতার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজীব কুমার বলেন, ‘কোনও ভোটারকেই ভোট প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হবে না।’