নয়াদিল্লি: বন্ধুদের সঙ্গে গোয়ায় বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ ওশো মেডিটেশন সেন্টার থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ৩৬ বছরের আরতি হামাল। আরতির পরিচয়, তিনি নেপালের কৈলালী জেলার ধনগঢ়ীর মেয়র গোপাল হামালের মেয়ে। উদ্বিগ্ন মেয়র মেয়ের সম্পর্কে খোঁজ দেওয়ার জন্য ‘এক্স’ হ্যান্ডলে আবেদন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি, গোয়া পুলিসের কাছে তিনি অভিযোগ দায়েরও করেন। এরপরই তল্লাশি অভিযানে নামে গোয়া পুলিস। শেষপর্যন্ত নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর বুধবার উত্তর গোয়ার চপদেম গ্রামের এক হোটেলে খোঁজ মেলে আরতির। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বান্ধবী। ওশোর রিসর্ট থেকে এই হোটেলটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে আরতির পরিবারের সদস্যরাও বিমান ধরে তড়িঘড়ি নেপাল থেকে চলে এসেছেন গোয়ায়। পুলিস জানিয়েছে, আরতি কীভাবে এখানে এলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। কারণ, মোবাইল ফোনটি ফেলে যাওয়ায় আরতির গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছিল।
কয়েক মাস ধরেই ওশোর ওই মেডিটেশন রিসর্টে ছিলেন ধনগঢ়ীর মেয়র-কন্যা। কিন্তু, সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ থাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রহস্য দানা বাঁধে তাঁর মোবাইল ফোনটি রিসর্টেই পড়ে থাকায়। অভিযোগ পেয়ে আরতির খোঁজে পারনেম ও মানদ্রেমের সব হোটেলে তল্লাশি চালায় পুলিস। কানাকোনার ওশো সেন্টারেও যায় তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষপর্যন্ত, চপদেমের হোটেলে খোঁজ মেলে এই নেপালি নাগরিকের।