গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও সরকার পরিচালনার কাজে মন্ত্রীদের বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে চলেছেন কেজরিওয়াল। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছেও এব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। তার জেরেই এদিন ইডির হাতে বন্দি স্বামীর হয়ে মাঠে নামেন সুনীতা। তিনি বলেন, ‘অরবিন্দজি আমাকে বলেছেন, দু’বছর ধরে ওরা (এজেন্সি) তথাকথিত আবগারি নীতি মামলায় ২৫০টি জায়গায় হানা দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেআইনি একটা পয়সাও খুঁজে পায়নি। সিশোদিয়া (দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী), সঞ্জয় সিং (আপের রাজ্যসভার সদস্য), সত্যেন্দ্র জৈনের (দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী) বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ওরা। কিন্তু কানাকড়িও পায়নি। ওরা আমাদের বাড়িতে হানা দিয়ে মাত্র ৭৩ হাজার টাকা পেয়েছে, যা আমাদেরই। তাহলে তথাকথিত আবগারি দুর্নীতির এত টাকা গেল কোথায়? অরবিন্দজি বলেছেন, আগামী কাল আদালতে সব কিছু প্রকাশ করবেন। তাঁর কাছে প্রমাণ আছে। গোটা দেশ এর সাক্ষী থাকবে।’ কিন্তু আপ সুপ্রিমো এতদিন কেন চুপ ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেত্রী শাজিয়া ইলমি।
এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের দায়ের করা মামলায় লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করে ইডি। জবাবে আপ সুপ্রিমোর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন,‘ইডির কিছু বলার নেই। স্রেফ মামলা দীর্ঘায়িত করতেই ‘সময়’ চাইছে। আবগারি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। তদন্ত শুরু করার আগেই কেন গ্রেপ্তার?’ দু’দফায় শুনানির পর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা জানিয়ে দেন, ২ এপ্রিলের মধ্যে ইডি তার বক্তব্য জানাবে। ফলে আজ নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের ছাড় পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত।
এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আপ। আগামী রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোটের প্রতিবাদ সভা। সেই সময় বাংলার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দলের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির থাকবেন দুই এমপি। প্রদেশস্তরের শত্রুতা ভুলে রবিবারের সভাকে বৃহত্তর মোদি বিরোধী মঞ্চে পরিণত করতে এদিন দিল্লি এবং হরিয়ানার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালও।