বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে একাধিক ইতিহাস গড়েছেন কমলা। তাঁর সেই সাফল্যকে উদযাপন করতে আন্তরিকতার এতটুকু অভাব ছিল না থুলাসেন্দ্রাপুরমের। সবুজ ধান খেতে ঘেরা গ্রামটি এদিন কমলার জন্যই সাজানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা ৫২ বছরের শিক্ষক অনুকম্পা মাধবাসিমহন বললেন, ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এতে আমরা যারপর নাই খুশি। তাছাড়া এই গ্রামের সঙ্গেই রয়ে গিয়েছে তাঁর শিকড়ের টান। এটা কম গর্বের নয়।’ ওই গ্রামেরই ৪০ বছরের জি মনিকান্দন আবার মনে করছেন, ‘পরবর্তী চার বছর যদি ভারতের পাশে থাকেন কমলা, বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করেন, তা হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টও হতে পারেন।’ কমলা হ্যারিসের এক মামা জি বালাচন্দ্রন দিল্লিতে শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত। কমলার ইতিহাস গড়ার মুহূর্তে তাঁর চোখেও আনন্দাশ্রু। বললেন, ‘কমলাকে বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়ার নেই। তাঁর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পিছনে আমার কোনও অবদান নেই। তার সাফল্যের কারিগর সে নিজেই। তবে তাকে একটি কথাই বলতে চাই, তোমার মা শ্যামলা তোমাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, সেই পথেই চলো তুমি। এখনও পর্যন্ত তুমি যা করেছো সত্যিই অসাধারণ। এটাই ধরে রাখো।’
নভেম্বরে আমেরিকায় ভোটের আগে কমলার জয় চেয়ে মন্দিরে পুজো দেন থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা। ভোটের ফল ঘোষণা হতেই সেদিনও উচ্ছ্বাসে ভেসেছিলেন তাঁরা। বিলি করেছিলেন মিষ্টি। উৎসব হয়েছিল গ্রামে। এখনও গোটা গ্রামে জ্বলজ্বল করছে কমলার সাফল্য কামনায় দেওয়াল লিখন। উঁকি মারছে পোস্টার। কোনও কোনও দোকানে আবার আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ঘরের মেয়ে’ কমলা হ্যারিসের ছবি সম্বলিত ক্যালেন্ডার। তা বিলিও হচ্ছে। মার্কিন মুলুকে বাইডেন-কমলার শপথ গ্রহণের আগেই থুলাসেন্দ্রাপুরমে পুজো শুরু হয়ে যায়। গ্রামের শিশুদের মধ্যে বিলি করা হয় খাবারের প্যাকেট।
থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামেই বাস করতেন কমলার মায়ের পূর্বপুরুষরা। এক দশক আগে ওই গ্রাম ছেড়ে চেন্নাই চলে আসেন তাঁর দাদু। কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলাও জন্মেছিলেন এদেশেই। পরে তিনি পড়াশোনার জন্য চলে যান আমেরিকায়। সেখানেই বিয়ে করেন জামাইকার এক নাগরিককে।