বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বায়ো-মেডিক্যাল ইলেক্ট্রনিকসে পিএইচডি করা ডঃ সুনীলমের আসল নাম সুনীল মিশ্র। পদবির জেরে যাতে জাতিগত বৈষম্য প্রকট না হয়ে পড়ে, সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন না নিজের পদবি। পরিবর্তে শুধু লেখেন, সুনীলম। কৃষক বিক্ষোভস্থলগুলিতে এই নামেই পরিচিত তিনি। বললেন, ‘আমি রামমনোহর লোহিয়া, বাবাসাহেব বি আর আম্বেদকরের অনুগামী। তাঁদের জীবন আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। আমার পদবি যাতে জাতপাতের সমস্যাকে উস্কে দিয়ে আর পাঁচজনকে বিড়ম্বনায় ফেলে না দেয়, সেই কারণেই আমার এমন সিদ্ধান্ত।’ কৃষক আন্দোলনের বিগত প্রায় দু’মাসে এই কৃষক নেতা ঘুরে বেড়িয়েছেন দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু, তিক্রি সীমানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায়। করেছেন অবস্থান-বিক্ষোভ। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মূলত তাঁরই নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের মুলতাইয়ে শুরু হয়েছে কৃষক আন্দোলন। এই মুহূর্তে কিষান সংঘর্ষ কমিটির নির্দেশে ডঃ সুনীলমের অবস্থান মুলতাইয়ে। জানালেন, ‘২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর প্যারেডের আগেই ফের দিল্লি সীমানায় কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।’
চাইলে ঈর্ষণীয় কেরিয়ার তৈরি হতে পারত। পরিবর্তে সীমানায় ঘুরে ঘুরে রাতদিন এক করে কাটাতে হচ্ছে। কখনও কি পিছন ফিরতে ইচ্ছে হয়? ডঃ সুনীলমের সপাট জবাব, ‘কোনও আফশোস নেই। নিজের জীবনে আমি ভীষণভাবে সুখী। সমাজের জন্য এভাবেই কাজ করতে চেয়েছিলাম। দরিদ্রদের জন্য লড়াই করার মানুষ এখনও অনেক কম। যদি আমায় দেখে আরও কেউ এগিয়ে আসেন, সেটাই আমার সাম্মানিক।’ চাষিদের দাবি কি আদায় হবে? ডঃ সুনীলম বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে ১১০ শতাংশ নিশ্চিত।’