বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দাউদের ছোট ভাই মুস্তাকিম আলি কাসকর ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ছেড়ে দুবাইয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে মুস্তাকিমের। তার আড়ালে দুবাই থেকেই আমিরশাহি, বাহরিন ও কাতারে ডি-কোম্পানির সাম্রাজ্য চালানোর ভার সামলাচ্ছে সে। পাশাপাশি দাউদ পরিবারের যেসব আত্মীয় করাচি থেকে দুবাই গিয়ে উঠছে, তাদের দেখাশোনার দায়িত্বও সামলাচ্ছে মুস্তাকিম। দাউদের অন্য ভাই আনিস ইব্রাহিম থাকত করাচির ডিফেন্স হাউজিং এলাকায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত দু’সপ্তাহ করাচির এই এলাকায় আর দেখা যাচ্ছে না আনিসকে। দাউদের আরেক ভাই নুরুল হক পাকিস্তানে থাকাকালীনই মারা গিয়েছিল। অন্য এক ভাই সাবির আহমেদ ১৯৮১ সালে মুম্বইয়ে শ্যুটআউটে মারা পড়েছিল। সাবিরের পরিবার পরে পাকিস্তানে চলে যায়। তাদের দেখাশোনার ভার নেয় দাউদ নিজেই। সূত্রের খবর, দাউদের ছেলে মইন কাসকর প্রায়ই পাকিস্তান থেকে লন্ডন গিয়ে ওঠে। ব্রিটেনে দক্ষিণ এশিয়ার এক খ্যাতনামা মুসলিম ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মইনের। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দাউদের করাচির ক্লিফটন বাংলোতেই থাকত ছেলে মইন ও তার স্ত্রী। করাচি, লাহোর ও আমিরশাহিতে ডি-কোম্পানির বহু কোটি টাকার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সামলায় মইন।
জঙ্গি কাজকর্মে আর্থিক মদতের দায়ে আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের মাথায়। সন্ত্রাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে যাওয়ায় জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাকিস্তান। গ্রেপ্তার করা হয়েছে লস্কর কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভিকে। ঘটনাচক্রে ইন্টারপোল ও আন্তজার্তিক জঙ্গির তালিকায় নাম রয়েছে দাউদেরও। এই অবস্থায় দাউদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আগেভাগেই পাকিস্তান থেকে সরিয়ে ফেলতে শুরু করল দাউদ।