মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের দেড় মাসের মধ্যেই তৃণমূলের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে চলেছে আগামী একুশে জুলাই। ধর্মতলা প্রাঙ্গনে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। এবারের লোকসভা ভোটে ২৯টি আসন জেতার পরেও তৃণমূল কোনও বিজয় উৎসব করেনি। লোকসভায় জয়ের সাফল্য একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করতে চায় তৃণমূল। বাংলার মানুষের জন্য আগামী দিন সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের কীভাবে কাজ করতে হবে, তার নিদানও খোলা মঞ্চ থেকে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের নির্দিষ্ট লাইনের বাইরে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি-নেতা হাঁটতে শুরু করেছেন। যাঁদের সম্পর্কে এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রচুর অভাব অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া ছাড়াও, সংশ্লিষ্ট ওই নেতা দলকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন বলেও অভিযোগ। নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা, তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে মানুষের জন্যই। ফলে যাঁরা মানুষের স্বার্থ না দেখে নিজ স্বার্থ দেখবেন, তাঁদের ছেঁটে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করা হবে না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। ফলে তার আগে দলের ‘ঝাড়াই-বাছাই’ পর্বটাও তৃণমূল সেরে ফেলতে চাইছে।
এবারের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ হবে রবিবার। ছুটির দিনে কর্মী সমর্থকদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি যাতে হয়, তারই রূপরেখা স্থির করেছে তৃণমূল। জেলায় জেলায় সে সম্পর্কে বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখানেই একটি বিষয়ের উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। চোখের চিকিৎসার জন্য তাঁর বিদেশে বেশ কিছুটা সময় থাকবার কথা রয়েছে। ফলে একুশে জুলাইয়ের আগে তিনি কলকাতায় ফিরতে পারবেন কি না, সংশয় রয়েছে। তৃণমূল ভবনের সূত্রে খবর, অভিষেক সশরীরে থাকুন বা অন্যত্র থাকুন, তাঁর বক্তব্য ওই দিন সামনে আসবে।