দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
এর পাশাপাশি ভাইরাসঘটিত রোগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪০০। আক্রান্তে শীর্ষে থাকা পাঁচ জেলা হল— উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলি এবং কলকাতা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পাঁচ জেলার প্রতিটিতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এদিকে ভরা বর্ষা এবং অবশ্যই ভরা ডেঙ্গুর মরসুমের মধ্যে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ থাকায় আর্থিক টানাটানি শুরু হওয়া। গ্রামেগঞ্জে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি টিম। তার একটি হল ‘ভিএসটি’। অন্যটি হল, ‘ভিসিটি’। ভিএসটি মানে ভিলেজ সার্ভে টিম। ভিসিটি অর্থাৎ ভেক্টর কন্ট্রোল টিম। ভিলেজ সার্ভে টিমের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখেন এবং জমা জল থাকলে তা ফেলে দেন। অন্যদিকে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা মশা মারার তেল স্প্রে করেন। দু’টি দলই পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে কাজ করে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে এই দু’টি দলের ১৫ জনের কমিটি আছে। তাতে এক সুপারভাইজার, আট ভিএসটি এবং ছয় ভিসিটি সদস্য কাজ করেন। দুই দলের সদস্যই দিনে ১৭০ টাকা করে ভাতা পান। অভিযোগ, সেই টাকা মাসের পর মাস ধরে অনিয়মিতভাবে আসছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, ডেঙ্গুর বাড়াবাড়ির মরসুমে এই দল যদি টাকা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে রাজ্যে রোগ পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধার সঙ্গে এই সমস্যার কথাও জানান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। নবান্নের শীর্ষকর্তাদের তাঁরা অনুরোধ করেন, আর্থিক সমস্যার মধ্যেও যে কোনওভাবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত যেন এই দলের সদস্যদের নিয়মিত ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখা হয়।