কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কেএলও (কেএন) আর্থিক কষ্টে ভুগছে। এমনকী বেশ কিছু জায়গায় ব্যবসায়ীদের কাছে ‘তোলা’ চেয়ে হুমকি দিয়েও, তা মেলেনি। সাহায্যকারী এনএলএফটি আজ দুর্বল। বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণের পথে হাঁটছে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। রাজ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কেএন’এর চিফ ডিএল কোচ সহ ১৪ জনের একটি দল ত্রিপুরার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে কুমারগ্রামের একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন যুবক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রেই খবর। সেখান থেকেই তারা আত্মসমর্পণের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের গতিবিধির উপর সম্পূর্ণ নজর রাখছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য গোয়েন্দারা।
জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কেএন) পরিচয় কী? জীবন সিংহ নেতৃত্বধীন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও’র মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। জীবন শান্তি আলোচনার জন্য রাজি হওয়ার পর সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে। তখনই গত বছরের জানুয়ারিতে জীবন সিংহ শিবিরে গ্রেনেড এবং আইইডি বানাতে পারদর্শী কয়েকজন অসমের কোকরাঝাড়ের শেরপাংগুড়ির যুবক ডিএল কোচের নেতৃত্বে কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) সংগঠন তৈরি করে। প্রাথমিক অবস্থায় জীবনের কায়দায় হুমকি তোলাবাজি ও নাশকতাই তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, পরবর্তীতে ডিএল কোচ মায়ানমারের জঙ্গল থেকে ত্রিপুরা হয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পার্বত্য উপত্যকায়। সেখানে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন কুকি ন্যাশনাল আর্মি এবং কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন জঙ্গি গোষ্ঠীর সহায়তায় কেএন গোষ্ঠী জাল বিছাতে শুরু করে।
উত্তরবঙ্গ সহ অসমের বেশ কিছু যুবক কেএন’এ যোগদান করে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব নেয় এনএলএফটি। এই পর্বেই আলিপুরদুয়ারর কুমারগ্রামের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া পড়াশোনা লাটে তুলে যোগদান করে কেএন’তে। গতবছরের এপ্রিল মাসে অসমের কোকরাঝাড়ের চক্রশীলা অভয়ারণ্যে কেএন-এর কয়েকজন সদস্যের ঘাঁটি গাড়ার খবর পেয়ে হানা দেয় অসম পুলিস। গুলির যুদ্ধে খতম হয় কেএন গোষ্ঠীর দুই সদস্য। জানা গিয়েছে, এরপর থেকে সংগঠনের তহবিল ‘মজবুত’ করতে উত্তরবঙ্গ ও অসমের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিতে থাকে। এমনকী উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি দেয় তারা। রাজ্য সরকারের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে, তাতে কেএলও (কেএন) গোষ্ঠীর আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছু পথ নেই। তাই ত্রিপুরা থেকে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।