কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শাহাদতের আমির হাবিবুল্লার সঙ্গে বাংলাদেশে এই সংগঠনের বড় মাথাদের যোগ মিলেছে। তার সঙ্গে সংগঠনের ‘চিফ’ সালাউদ্দিন সালেহানের কথাবার্তার ‘প্রমাণ’ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। অর্থাৎ দুজনের যোগের বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হচ্ছেন। সালাউদ্দিনের সঙ্গে হাবিবুল্লা দেখা করেছিল বলেই জেনেছেন তদন্তকারীরা। অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে চ্যাট করার সময় জঙ্গি গোষ্ঠীর ফিনান্সিয়াল ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যের সঙ্গে হাবিবুল্লার আলাপ হয়। সংগঠনের আমিরকে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশি করে ‘দাওয়াতের’ ব্যবস্থা করতে। সশরীরে নয়, অনলাইনে এই আমন্ত্রণ জানাতে হবে। যাতে বেশি সংখ্যায় স্লিপার সেল তৈরি করা যায় রাজ্যে। বেশি সংখ্যায় জঙ্গি মডিউল তৈরি করলে কোনওভাবে একটির সদস্যরা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে গেলেও, তাদের কাজ চালাতে অসুবিধা হবেনা। এরজন্য প্রয়োজনীয় টাকার অভাব হবে না বলে হাবিবুল্লাকে জানিয়ে দিয়েছিল শাহাদতের বড় চাঁইরা। রাজ্যের স্লিলের সদস্যদের কাছে এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘আমির’কে। সংগঠন বাড়ানোর জন্য সত্যি হাবিবুল্লা কোনও টাকা পেয়েছে কি না, জানতে তার তিনটি অ্যাকাউন্টের নথি ব্যাঙ্ক থেকে নেন তদন্তকারীরা। সেটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, আরব দুনিয়া থেকে টাকা এসেছে। তার থেকে তাঁরা অনুমান করছেন, সেখানে শাহাদতের কোনও সদস্য বা সহানুভূতিশীল কেউ রয়েছে। যারা তহবিল জোগাড়ের কাজ করছে। বাংলাদেশ ধরা পড়া শাহাদত জঙ্গিদের কাছেও আরব দুনিয়া থেকে টাকা আসছিল। সীমান্তের ওপারের পুলিস জেনেছে, দক্ষিণ ভারতে থাকা সংগঠনের ‘বস’ সালাউদ্দিনের একাধিক হ্যান্ডলার দুবাই সহ আরব দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। সালাউদ্দিনকে অনেকদিন ধরেই তাঁরা অর্থসাহায্য করছেন বলে অভিযোগ। অ্যাকাউন্টের ট্রেল ধরে কারা টাকা পাঠাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।