কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
মৌসুমি বায়ুর একদিকের প্রান্ত কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বর্ষা ঢুকে তা দিল্লির কাছাকাছি চলে গিয়েছে। বর্ষা ঢুকেছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু পূর্ব ভারতে দক্ষিণবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একটা বড় অংশে বর্ষা এখনও প্রবেশ করেনি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বর্ষার অগ্রগতির যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের দুই প্রান্তে বড় অংশজুড়ে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও মাঝের কিছুটা জায়গা এখনও বাকি আছে। আলিপূর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্ষার এরকম গতিপ্রকৃতিকে অস্বাভাবিক বলা যায় না। অতীতেও এরকম হয়েছে। এবার বঙ্গোপসাগরের দিকের মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কম থাকার জন্য এটা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশ সহ পূর্ব ভারতের বাকি এলাকায় কয়েকদিনের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে জুন মাসের একেবারে শেষ লগ্নে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও যে ঘাটতি ইতিমধ্যে এমাসে হয়ে গিয়েছে, তা বিশেষ পূরণ হবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। এবার সেখানে দক্ষিণবঙ্গের একটা অংশে (কলকাতা সহ) বর্ষা ঢুকেছে ২১ জুন। যেখানে বর্ষা ঢুকেছে, সেখানে তা একেবারে সক্রিয় না হওয়ায় বৃষ্টি খুবই কম হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসে জুন মাসে মাত্র ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। জুন মাসে এখানে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ২৮৯ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের থেকে ৭৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জায়গাগুলিতে অবস্থা কম-বেশি একই রকম আছে।