দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
বস্তুত, মমতার দিল্লি সফর থাকলেই গোটা দেশের রাজনীতির কারবারিদের নজর থাকে সেদিকেই। দিল্লিতে মমতা কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন, কী কথা হল, দলের সাংসদদের কী বার্তা দিলেন — এনিয়ে চর্চা চলতে থাকে। বিজেপি বিরোধী আওয়াজ যখন দেশজুড়ে জোরাল হয়ে উঠছে, তখন মমতার দিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই পর্বে মমতার সঙ্গে কোনও বিরোধী দলের নেতাদের সাক্ষাৎ হয় কি না, সেদিকে নজর থাকছে। তবে তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, ৭ তারিখ সাংসদদের নিয়ে মমতার বৈঠক। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দিল্লির বাড়িতে এই বৈঠক হতে চলেছে বলে খবর। সংসদের অধিবেশনে বিজেপি বিরোধী আওয়াজ কীভাবে তৃণমূল তুলে ধরবে, তার একটা আভাস ওই বৈঠক থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ২০২৪ সাল। তৃণমূল নেত্রী আগেই দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, বাংলায় যখন হারাতে পেরেছি, তখন দিল্লিতেও পারব। ফলে কেন্দ্রের গদি থেকে বিজেপি উৎখাত করতে ধারাবাহিক লড়াই-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। মমতা একাধিকবার উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলির একজোট হওয়া প্রয়োজন। সেই সূত্রে বিরোধীদের মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগয় কি না, তার উত্তরও মিলতে পারে মমতার দিল্লি সফর থেকে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, নো ভোট টু বিজেপি এই আওয়াজ আজ দেশের সব প্রান্ত থেকে উঠেছে। যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাবে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে পর্যায়ক্রমে। - ফাইল চিত্র