দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
এসএসসির হিসেব অনুযায়ী, নবম-দশমে ১৮৩ জনকে অবৈধভাবে সুপারিশ দেওয়া হলেও সিবিআই কিন্তু জানিয়েছে তালিকাটা দীর্ঘ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবম-দশমে মোট ৯৫২ জন অবৈধভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। গাজিয়াবাদ এবং এসএসসি দপ্তরের বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের যে নমুনা মিলেছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এসএসসির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অভয় বার্তা, ‘কোনওরকম ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে।’
সূত্রের খবর, এদিন এসএসসি অবৈধভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত যে ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে—৩৭ জন। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৯, মালদহে ২৫, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৭, উত্তর দিনাজপুরে ১৩, কোচবিহারে ১২, পূর্ব মেদিনীপুরে ১০, জলপাইগুড়িতে ৮, কলকাতায় ৭, বর্ধমানে ৬, বীরভূমে ৫, বাঁকুড়ায় ২ এবং আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ জন করে বেআইনি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছেন বলে খবর। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোলের পাশাপাশি বিজ্ঞানের সমস্ত বিষয় যেমন অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান ও ভৌতবিজ্ঞানেও মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে সিবিআই উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। তদন্ত প্রক্রিয়া মসৃণভাবে চালাতে হবে।
এদিকে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগামী সোমবার সিবিআইকে এবিষয়ে তথ্য দিতে হবে।
এদিকে, বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কোনও বিচারপতি নাম উল্লেখ না করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, যিনি সবকিছু জানেন, তাঁকে উচিত সাক্ষী হিসেবে ট্রিট করা। যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে, তারা বিষয়টি ভেবে দেখুক।