দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
অর্থমন্ত্রক আগেই জানিয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছরের ট্যাক্স রিটার্নের পরিমাণ অনেক বেশি। আয়কর দাতার সংখ্যাও বাড়ছে। তাদের হিসেবে, এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমায় প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে ২১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। আর্থিক ঘাটতি সাড়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি আয়ের অন্যতম উপকরণ নন ট্যাক্স রেভিনিউ। অর্থাৎ, কর বহির্ভূত আয়। কিন্তু সেটাই এখন উদ্বেগ বাড়িয়েছে অর্থমন্ত্রকের। কারণ, বিপুলভাবে কমে চলেছে এই নন ট্যাক্স রেভিনিউ। অর্থাৎ অন্যান্য উপায়ে রাজস্ব বৃদ্ধির যে যে মাধ্যম রয়েছে, যাবতীয় ক্ষেত্রে ব্যর্থ মোদি সরকার।
প্রধানত বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান বাবদ সরকার যে টাকা অথবা সেস আদায় করে, সেটাই নন ট্যাক্স রেভিনিউ। এই খাতে কেন্দ্রের আয় কমেছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের দেওয়া করই এখন আশা ভরসা। সে আয়করই হোক, বা সিজিএসটি কিংবা সেস। কিন্তু মধ্যবিত্তের এইভাবে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানোর পাল্টা স্বীকৃতি হিসেবে কোনও উপহার দেওয়া হচ্ছে না। একের পর এক বাজেট এসেছে এবং চলে গিয়েছে, আয়করের বোঝা কমানো হয়নি। ইতিমধ্যে সেই দাবিতে সরব হয়েছে বাণিজ্যমহলও। সম্প্রতি আবার তারা অর্থমন্ত্রককে চিঠি লিখে বলেছে, আয়করের সামান্য সুরাহা হলে মধ্যবিত্তের হাতে টাকা আসবে। ফলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। পরোক্ষে তা চাঙ্গা করবে অর্থনীতিকেই। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এবার অন্তত আয়করে উপহার পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছে মধ্যবিত্ত।