দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
কী কী নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে টেটে? জানা গিয়েছে, সহস্রাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সশরীরে নজরদারির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা এবং হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর থাকছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ যাতে অসাধু উপায় অবলম্বন না করতে পারেন, সেজন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেবে পর্ষদ। বাছাই করা কিছু কেন্দ্রে থাকবে ইন্টারনেট জ্যামার। পরীক্ষাকেন্দ্রে স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল, ক্যালকুলেটর সহ সব ধরনের বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। এছাড়া, প্রশ্নপত্র ছাপা, তা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, উত্তরপত্র বয়ে আনা, পরীক্ষকদের সাম্মানিক, যাঁরা খাতা দেখবেন তাঁদের ফি বাবদ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার খরচ। এখানেই শেষ নয়, যাঁরা টেট পাস করবেন তাঁদের নিয়োগের আগে হবে ইন্টারভিউ। গোটা সাক্ষাৎপর্ব ভিডিওগ্রাফি হবে। সেই খাতেও হবে বাড়তি খরচ। সব মিলিয়ে রাজ্যের খরচ ছাড়াচ্ছে ৭০ কোটি।
এবারের টেটে আবেদন ফি বাবদ সাধারণ প্রার্থী ও সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের থেকে নেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৫০ ও ১০০ টাকা। অর্থাৎ, শিক্ষক নিয়োগের এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাকি ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক গৌতম পাল বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য আমাদের খরচ হবে অন্তত এক হাজার টাকা। স্বচ্ছতার স্বার্থেই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আবেদন ফি বাবদ যে টাকা এসেছে, খরচ হচ্ছে তার তুলনায় প্রায় দশগুণ বেশি।’ পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা হলেও, সুষ্ঠুভাবে টেট আয়োজনের জন্য জেলাশাসকদের কাছে বিশেষ নির্দেশ গিয়েছে নবান্নের তরফে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বাইরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি পুলিস যাতে সক্রিয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিস সুপার ও কমিশনারদের।
২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে টেট আবেদনকারী ছিলেন ২০ লক্ষের বেশি। ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তির পর আবেদনকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি। দু’টি পরীক্ষাই নেওয়া হয় বেশ দেরিতে। ২০১৭ সালের পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। ফল প্রকাশ হয় পরের বছর। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষা গ্রহণ হচ্ছে একই বছরে। স্বচ্ছভাবে তা আয়োজন করতে কোমর বেঁধেছে রাজ্য প্রশাসন।