কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বর্ধমান থেকে ১৬ জনের যে দল ১৫ অক্টোবর পাহাড় ভ্রমণে এসেছিল, তাদের মধ্যে শিশু সহ ১০ জন মহিলাও রয়েছেন। মঙ্গলবার সিলারিগাঁও থেকে আলগাড়া দিয়ে ফেরার পথে তাঁরা আটকে পড়েন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে ওই দলের সদস্য সুরজিৎ বসাক বলেন, সিলারিগাঁও থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি নামে। তখনও ভাবিনি, এমন চরম দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। লাভা থেকে প্রায় ছ’কিমি দূরে গাড়ি আটকে যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম, কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা হব। কিন্তু, সময় বাড়তেই দেখা যায়, পিছনে পর্যটকদের গাড়ির লম্বা লাইন। ড্রাইভার এসে বলেন, সামনে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। আর এগনো যাবে না। সামনে কোনও রাস্তা নেই। সারারাত পাহাড়ি রাস্তায় গাড়িতে বসে কাটাতে হয়েছে। সঙ্গে খাবার বলতে কিছু বিস্কুট, কেক আর জল। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা কাটানোর পর পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আমরা একটু একটু করে এগতে শুরু করি। লাভা ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েসনের সদস্যরা আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। খাবার, পানীয় জল দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা গাড়ি দিয়ে আমাদের লাভা বাজারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রশাসনও সাহায্য করে। বুধবারের রাত লাভাতেই কাটিয়ে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে ফিরেছি।
এই পরিস্থিতিতে ধস সরিয়ে এখনও পাহাড়ি সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার বিভিন্ন এলাকা এখনও ধসবিধ্বস্ত। এদিনও টয় ট্রেন চলতে পারেনি। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,এখনও রেলের ট্রাকে ধসের মাটি, পাথর, গাছ পড়ে আছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী সুমন থাপা এখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবল্লম এদিন বলেন, বুধবার যে সমস্ত রাস্তা ধসের কারণে বন্ধ ছিল, তার বেশিরভাগই চালু করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কে বালসন সেতুতে ফাটলের কারণে বুধবারের মতো এদিনও যানবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এর জেরে শিলিগুড়ি শহরে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। প্রবল যানজট দেখা দেয়।