নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
রাজনীতির মঞ্চও তার ব্যতিক্রম নয়... স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে রয়েছে তার প্রমাণ। দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় বাঙালির অশ্বমেধের ঘোড়ায় কেউ রাশ টানতে পারেনি। কিন্তু আজ সেই বাঙালিকেই কেমন একটা অদ্ভুত প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে বাংলার চরিত্র নিয়ে, নিরাপত্তা নিয়ে। রাজনীতি বাংলার অঙ্গ হতে পারে, কিন্তু ক্ষমতা দখল বা প্রদর্শনের নামে যেভাবে বাঙালিকে রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে, তা কখনওই কাম্য নয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত জাতীয় সঙ্গীত সারা ভারতের গর্ব। অহঙ্কার আমাদের বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’। যেখানে বাঙালি, সেখানেই সুরুচি ও সৌন্দর্যের পরিচয়। শুধু সঙ্গীত বা সাহিত্য নয়, শিল্পকলাতেও আমরা বাঙালিরা আর পাঁচজনের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের মননে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর গান ও কবিতা আমাদের ভাবনার রসদ জোগান দেয়। তাঁর ভাবনা আমাদের কল্পনাকে সমৃদ্ধ করে। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাই আজও বাংলার স্থান সবার আগে। এবং বাঙালির এই সাহিত্য ও শিল্পচর্চা নিয়ে গোটা বিশ্বই অবগত। রবি ঠাকুরের সেই ‘সোনার বাংলা’ আজ তাহলে কেন বঞ্চনার শিকার? বাঙালি অনধিকার চর্চা করে না। কিন্তু এ কথাও ঠিক, কোথাও অন্যায় দেখলে বাঙালি মেনে নেয় না। অধিকারে আঘাত এলে প্রতিবাদ করে। বারবার। ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার নিদর্শন রয়েছে। সেই প্রতিবাদ স্বরূপই ইংরেজ সরকারের দেওয়া নাইটহুড অনায়াসে ত্যাগ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজও বাঙালি কোনও বঞ্চনা দেখলে তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে তুলে ধরে বিরোধী কণ্ঠ। এরপরও একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বাঙালি কোনওমতেই হিংসাপ্রবণ নয়। রুচি বজায় রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন—এটাই সামগ্রিকভাবে বাঙালির পরিচয়। সুচারুভাবে যে কোনও বক্তব্য রাখাই বাঙালির ধর্ম। কিন্তু বাঙালির এই স্বভাবেরই আজ সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তাদের অকারণে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। অযথা মিথ্যাচার তাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন? কারণটা কিন্তু আমাদের কাছে মোটেও স্পষ্ট নয়। তাই আজ বাঙালি লক্ষ করছে নানা অশনিসংকেত। এবং সেক্ষেত্রে আবারও শোনা যাবে তার গর্জন। অবশ্যই নিজের ঐতিহ্য বজায় রেখে। বাঙালিকে যে বা যারা এই বৈষম্যের জমিতে দাঁড় করাচ্ছে, উত্তর তারা পাবেই... অহিংসায়, গণতন্ত্রে।