নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এদিন বেলা দুটো নাগাদ হেলিকপ্টারে চেপে গাজোলে আসেন যোগী। স্থানীয় কলেজ ময়দানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় শুরু করেন ভাষণ। বলেন, ‘গত চার বছরে উত্তরপ্রদেশে একটিও দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। দাঙ্গাবাজদের ধরে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। শরণার্থীদের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল পরিচালিত সরকার। অথচ অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।’ যোগীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের বাংলায় দুর্গাপুজো আয়োজনের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হচ্ছে।’ একের পর এক মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় জেরবার উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক প্রধানের অভিযোগ, ‘বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন। এ রাজ্যের জঙ্গি কার্যকলাপ গোটা দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে!’ এরই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্বের পোস্টার বয়-এর দাবি, ‘তাঁদের আমলে অর্থনীতিতে উত্তরপ্রদেশ অনেক রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। তাই এই রাজ্যেও ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই।’ সম্প্রতি নিমতায় এক বৃদ্ধার উপর ‘নির্যাতন’-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোড়াফুল এবং সিঙ্গলফুল শিবিরের মধ্যে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মালদহের সভামঞ্চ থেকে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ রাজ্যের বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর বিরামহীন অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মাকেও ছাড়া হয়নি। ওই বৃদ্ধার করুণ মুখ দেখে আমার চোখে জল এসেছিল। বাংলার অরাজকতা দেখে দেশবাসী কষ্ট পাচ্ছে। ফের এ রাজ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।’
এদিকে নিমতার ঘটনায় যোগীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে পাল্টা ট্যুইটবার্তায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। অপরদিকে ব্রাত্যবাবুর অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যোগী যত কম কথা বলেন, ততই ভালো! আর অর্থনীতি! সোমবারই ফেব্রুয়ারি মাসের রাজ্যওয়াড়ি জিএসটি সংগ্রহের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলার বৃদ্ধি ১০ শতাংশ, আর যোগীজির উত্তরপ্রদেশের বৃদ্ধি মাত্র ৪ শতাংশ।