বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মজুরি সংক্রান্ত শ্রম কোড, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত শ্রম কোড, পেশাগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত শ্রম কোড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস সংক্রান্ত শ্রম কোড ইতিমধ্যেই সংসদে পাশ করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনেও পরিণত হয়েছে। কিন্তু তা এখনও সারা দেশে কার্যকর হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, আগামী ১ এপ্রিল থেকে তা সারা দেশে কার্যকর করতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু সরকারি সূত্রের খবর, ১ এপ্রিল নয়। সম্ভব হলে তার অনেক আগেই এই চারটি কোড সারা দেশে লাগু করতে দিতে চাইছে শ্রমমন্ত্রক।
সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার শ্রমিক সংগঠন এবং এমপ্লয়ার্স অর্গানাইজেশনগুলিকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে চারটি লেবার কোডের উপর ‘সাজেশন’ জমা দিতে বলেছেন। এর ফলেই ১ এপ্রিলের আগেই আইন কার্যকরের জল্পনা তীব্র হয়ে উঠেছে। গোটা প্রক্রিয়ার কড়া নিন্দা করে এদিন বৈঠকেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সিটু, আইএনটিইউসি সহ ১০টি সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন। পরে তারা একযোগে অভিযোগ করে বলেছে, এক্ষেত্রে সংসদীয় ব্যবস্থাকেই সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে কেন্দ্র।
শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, তাকে পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকলেও অন্যদের কথা শোনাই হচ্ছে না। তাড়াহুড়ো না করে প্রতিটি লেবার কোড নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক ডাকতে হবে কেন্দ্রকে। বৈঠকে অংশ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস আর্জি জানিয়েছে, লেবার কোডে প্রত্যেক চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক-কর্মচারীর সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও ঠিকাদারের অধীনে যদি একজন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকও থাকেন, তাহলেও যাতে তিনি সামাজিক সুরক্ষা পান, আইনে সেই ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে।