মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের উত্তরসূরী শান্তনু চট্টোপাধ্যায় ওই রথ সম্পর্কে বলেন, পারিবারিক সূত্রে জেনেছি, এই রথের সূচনা হয় ১৮৫৮ সালে। কালের নিয়মের কিছু পরিবর্তন এলেও চারবেলা ভোগ, পুজো যেমন আগের মতো হতো তেমনই হয়ে আসছে। নৈহাটির রাধাবল্লভের রথযাত্রা হয় সকালবেলাতেই। তখনই দড়িতে টানা দেওয়া হয়। বিকেলে বলরামকে নিয়ে রথ যায় গুঞ্জবাড়িতে। ন’দিন বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল ঝুলনযাত্রা। সোজা রথ ও উল্টোরথের দু’দিন বাদ দিয়ে বাকি সাত দিন রাধাবল্লভকে বৃন্দাবনলীলার নানা বেশে সাজানো হয়। রথযাত্রা ও উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবার পড়লে সেদিন রাধাবল্লভকে কৃষ্ণকালী বেশে সাজানো হয়। বাকি দিনগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাইরাজা, কালীয় দমন, নৌকাবিলাস, সত্যভামার দর্পচূর্ণ, বস্ত্রহরণ, বিষ্ণুর অনন্তশয্যা বেশে সাজানো হয়ে থাকে। ভোগ হিসাবে সকালে ফলমূল ও মিষ্টি দিয়ে বাল্যভোগ। দুপুরে অন্নভোগে থাকে সাদা ভাত, ডাল, পাঁচরকম ভাজা, দু’টি তরকারি, অম্বল ও পায়েস। বিকেলে বৈকালিক ভোগে থাকে ফলমূল ও মিষ্টি। রাতে শীতলভোগে থাকে লুচি, ছানা ও মিষ্টি। উল্টোরথের দিন পোলাও দেওয়া হয়।
জানা যায়, শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন মা দুর্গাসুন্দরী দেবীর নামে সংকল্প করে। সেই রীতি মেনে আজও এই পরিবারের গৃহবধূর নামে সংকল্প করা হয়।