মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নদীর গতিপথ সচল রাখতে সংস্কারের জন্য সেচদপ্তরের তরফে একসময় টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। চণ্ডীতলায় সরস্বতী নদীর উপর তিনটি সেতু তৈরি হয়েছে। কালীপুর, জনাই ও নৈটির এই তিন সেতু তৈরির সময়ও নদীর ধারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হয়েছিল। বাড়তি অর্থও ব্যয় হয়েছিল তার জন্য। তারপরও নদী দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশাসনের নীরবতায় বাসিন্দারা হতবাক। হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলে বলেন, ‘অবিলম্বে বিষয়টি খোঁজ নেব। নদীর নাব্যতা চাষ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।’ হুগলির প্রাক্তন কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার সময় সরস্বতীর নাব্যতা ফেরাতে টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’ হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, ‘সমস্যার কথা আমার জানা নেই। দ্রুত খোঁজ নিয়ে দেখব।’ হুগলির ডানকুনির বাসিন্দা তথা সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক প্রিয়ঙ্কর দাস বলেন, ‘সরস্বতী নদীর সঙ্গে হুগলির ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। আছে ইতিহাস। চণ্ডীতলার জনপদের বেড়ে ওঠার পিছনেও সরস্বতী নদীর ভূমিকা আছে। সেই নদী যদি চোখের সামনে চুরি হয়ে যায়, তা খুবই হতাশার। আশা করব, প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীতলার সঙ্গে সরস্বতী নদী জুড়েছে কালীপুর থেকে। তারপর জনাই হয়ে নদীটি বেগমপুর ছাড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছে। হুগলিতে সরস্বতী নদীর নিজস্ব একটি ঐতিহ্য আছে। ত্রিবেণীর ত্রিবেণীসঙ্গমের অন্যতম নদী সরস্বতী। তাছাড়া চণ্ডীতলায় চাষের জন্য ডিভিসি যে জল ছাড়ে, তাও প্রবাহিত হয় সরস্বতী দিয়ে। অথচ চণ্ডীতলার মধ্যে নদীর পাড়জুড়ে বা নদীর বুকেই গড়ে উঠেছে জনবসতি। হুগলি জেলা পরিষদের তরফে নদীর সৌন্দর্যায়নের জন্য সরস্বতীর পাড়ে রেলিং দেওয়া হয়েছিল। সেসব নদী দখলের প্রক্রিয়ায় খুলে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় এলাকার ডাম্পিং গ্রাউন্ড হয়ে উঠেছে নদীখাত। এসবের জেরেই ক্রমশ গিয়ে শীর্ণ খালের চেহারা নিয়েছে সরস্বতী নদী।