মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কীভাবে হচ্ছে এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট প্রতারণা? প্রতারকরা নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের বাড়ির ঠিকানা ও ফোন নম্বর জোগাড় করে রাখছে। তারপর তাঁর নামে ভিন রাজ্যের কোনও তদন্তকারী সংস্থার জাল লেটার হেডে ভুয়ো চিঠি বানানো হচ্ছে। এরপর ফোন করে মাদক ভর্তি পার্সেলের আমদানি অথবা রপ্তানির কথা জানিয়ে গ্রেপ্তারির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বাস না করলে পাঠানো হচ্ছে ভুয়ো পার্সেলটির ছবিও। এরপর নানা বাহানায় তাঁর ফোন নিজেদের দখলে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। আবার অনেক সময় যাঁকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হচ্ছে, তিনি ভয় পেয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসার কথা বলে বসছেন। সেই সুযোগেও মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।
সম্প্রতি শহরের এক ব্যবসায়ী পুত্রকে দিল্লি পুলিসের কর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে। তাঁকে জানানো হয়, ‘বিদেশ থেকে আপনার নামে ও ঠিকানায় একটি প্যাকেট ক্যুরিয়ারে আসছিল, যার মধ্যে মাদক রয়েছে। সেটি রাস্তায় ধরা পড়েছে। আপনার লোকেশন দূরে হওয়ায় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি গোয়েন্দারা কলকাতায় গিয়ে আপনাকে গ্রেপ্তার করবে।’ একথা শুনে ভয় পেয়ে ব্যবসায়ী পুত্র জিজ্ঞেস করেন, ‘গ্রেপ্তারি এড়াতে কী করণীয়?’ তখন প্রতারকরা ভুয়ো মামলাটির মীমাংসা করতে ৩ কোটি টাকার দাবি করে। সেই টাকা দিয়েও দেন যুবক। পরে তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে হরিয়ানা থেকে শচীন কুমার ও
দীপক কুমার নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অন্যদিকে, শহরের একটি নামী সংস্থার কর্ণধারের কাছে সম্প্রতি একটি ফোন আসে। ওপার থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে বলে, ‘আপনার নামের একটি পার্সেল কম্বোডিয়ায় যাচ্ছিল। কাস্টমসে চেকিংয়ের সময় দেখা গেছে, সেটির মধ্যে মাদক রয়েছে।’ একথা শুনেই কর্ণধার জানান, তিনি কোনও পার্সেল কোথাও পাঠাননি। এই বলে তিনি ফোনটি কেটে নম্বরটি ব্লক করে দেন। লালবাজারের জানাচ্ছে, ‘ভারতীয় সাইবার ক্রাইম শাখা, আইবি,
কাস্টমস ও অন্য সরকারি সংস্থাগুলির নামে ভুয়ো মেইল পাঠানো হচ্ছে। সেগুলিতে বিশ্বাস করবেন না। ফোন করে কেউ ডিজিটাল অ্যারেস্টের কথা জানালে স্থানীয় থানায় গিয়ে আগে যাচাই করুন।’