দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৯ দিন আগে চন্দননগরে সামান্য দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছিল। চন্দননগর হাসপাতালের সামনে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। ভদ্রেশ্বরে এক তরুণের বাইকের ধাক্কায় এক ব্যক্তি জখম হয়েছিলেন। বাইক আরোহী যুবক তাঁকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে সুস্থ ঘোষণা করলেও তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা বাইক আরোহী যুবকের উপরে চড়াও হয়। ওই ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল চন্দননগর। পাণ্ডুয়ার ঘটনাও প্রায় একই রকম। পরপর দু’টি ঘটনাকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজতাত্ত্বিকরা। ডানকুনির বাসিন্দা তথা মুর্শিদাবাদের একটি কলেজের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক প্রিয়ঙ্কর দাস বলেন, আমজনতার মধ্যে সহিষ্ণুতা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছিলই। এবার দেখা যাচ্ছে, নির্মমতাও তৈরি হচ্ছে। দ্রুতগতির জীবন, নানা সামাজিক জটিলতা, আর্থিক সঙ্কট মানুষকে নির্মম করে তুলছে। এই প্রবণতা ভয়াবহ। মৃত আশিসের মামা মুকুল বাউল দাস বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনার জেরে যেভাবে মারধর করে ছেলেটার প্রাণ কেড়ে নেওয়া হল, তা ভাবাই যায় না। আমরা ধৃতদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। পেশায় শ্রমিক আশিস সেদিন দ্বারবাসিনীর অন্য একটি এলাকায় মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরছিলেন। পথে গোরাগেড়ের কাছে মাইক বাজানো নিয়ে কয়েকজন যুবকের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তিনি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বাইকের ধাক্কা লাগে। এনিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে আশিসের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তারপরেই ওই যুবক ও তার সঙ্গীরা মিলে আশিসকে বেদম মারধর করে। রাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পাণ্ডুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম ঘুরে শনিবার তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখান থেকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে আশিসের মৃত্যু হয়।