উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জোয়ারের আচমকা টানে সৌরভ জলে তলিয়ে যান। তিনি সাঁতার জানতেন না। এই ঘটনার পর গঙ্গাস্নান ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরপাড়া ও সংলগ্ন এলাকার গত একমাসে একাধিক ক্ষেত্রে গঙ্গায় তলিয়ে সলিলসমাধি হয়েছে। অভিযোগ, তারপরও আমজনতা বা প্রশাসন কোনও মহলেই সতর্কতা তৈরি হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসেরও অনুমান, জোয়ারের টানে ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও উত্তরপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আশিস ঘোষাল বলেন, আমি মর্নিংওয়াক করছিলাম। সেই সময় এ ঘটনার কথা জানতে পারি। সাঁতার না জেনে গঙ্গায় নামা বিপজ্জনক। সেটা বাসিন্দারা যত দ্রুত বুঝবেন তত ভালো। তবে প্রশাসনের তরফেও পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ উত্তরপাড়ায় জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা লাগাতার ঘটছে। সৌরভের প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা বলেন, ওর গঙ্গাস্নানের তেমন অভ্যাস ছিল বলে কখনও শুনিনি। কেন যে স্নান করতে গেল কে জানে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বন্ধুর বাড়িতে ভারত-ইংল্যান্ডের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখতে গিয়েছিলেন সৌরভ। ভোরে বন্ধুদের বলেন, গঙ্গায় স্নান করতে যাবেন। তাঁর সঙ্গে আরও এক বন্ধু গিয়েছিলেন। ভোরবেলায় বেশি লোকজন গঙ্গার পাড়ে ছিল না। স্থানীয়দের দাবি, রামঘাটের পাড় পিচ্ছিল। গঙ্গার অনেকটা গভীরে ওই যুবক চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় জোয়ার আসে। তাতেই তিনি ভেসে যান। সৌরভের সঙ্গী ওই বন্ধুকেও পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জোয়ার আসার বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে জানা গিয়েছে।
১২ জুন কোন্নগরের বারোমন্দির ঘাটে এক যুবক জলে তলিয়ে মারা যান। তার আগে উত্তরপাড়ার গঙ্গার ঘাটে একাধিক ঘটনায় কিশোর থেকে যুবকের তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, গঙ্গার চর বৃদ্ধি পাওয়া, স্রোত সম্পর্কে ধারনা না থাকাতেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। যাঁরা নিয়মিত স্নান করেন তাঁরা জোয়ার, ভাটা সম্পর্কে জানেন। অন্যেরা নদীর স্রোত ও গভীরতার হদিশ পান না। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ নিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিও উঠতে শুরু করেছে নাগরিক মহল থেকে।