কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হাওড়ায় বেআইনি নির্মাণ, বেআইনি পার্কিং, জলা জমি ভরাট সহ একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধেও আলোচনা না করে একতরফা কাজ করায় তিনি রীতিমতো ‘বকাঝকা’ করেন সর্বসমক্ষে। এরপর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি সেখানে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, হাওড়ায় আমার জন্ম, কর্ম। এই শহরের নাগরিক হিসেবে গত তিন বছর ধরে হাওড়াকে বদলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের হাতে গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একারণে তাঁকে ধন্যবাদ। আমাদের কাজে নিশ্চয়ই কিছু খামতি রয়েছে, অভিভাবক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী সেগুলি চিহ্নিত করে দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ মতো আগামী দিনে আমি হাওড়াকে একটি পরিকল্পিত শহরের রূপ দিতে চাই। নিকাশি, সাফাই সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আরও জোর দেওয়া হবে। জঞ্জাল অপসারণের জন্য পুরসভা কয়েকটি গাড়ি কিনবে। যাতে এজেন্সি নির্ভরতা কমিয়ে শহরে সাফাইয়ের কাজ পুরসভা নিজেই করতে পারে।
গত তিন বছর প্রশাসকের চেয়ারে বসে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন। বলেন, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য হাওড়ায় তৈরি হয়েছে ‘সক্ষম’ ক্লিনিক। তৈরি হয়েছে পুরসভার নিজস্ব ব্লাড ব্যাঙ্ক। থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। শহরে নিকাশিনালা সাফাইয়ে রোবট এবং ডুবুরি নামিয়ে পলি সাফ করার ব্যবস্থা হয়েছে। এই কাজগুলিকে আরও জোরদার করতে হবে। এছাড়াও বেআইনি নির্মাণ এবং জবরদখল সমস্যা নিয়ে পুরসভা কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসে প্রশাসক বোর্ডের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে কীভাবে হাওড়ার উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে প্রশাসকমণ্ডলীর বিশেষ বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন সুজয়বাবু। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই হাওড়া শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পার্কিং ও বাজারগুলিকে ‘সিস্টেমে’ আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।