উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত বিধাননগর স্টেশনে রেলের ঘোষণা নিয়ে এই ধরনের খামখেয়ালিপনায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, সঠিকভাবে ঘোষণা না হওয়ার কারণে বহু যাত্রী ট্রেন মিস করছেন। কখনও পড়িমড়ি করে প্ল্যাটফর্ম বদল করতে গিয়ে পড়ে জখম হচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার গোলকধাঁধার মতো আন্ডারপাস দিয়ে এক ও দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে বেশ কয়েকবার পাক খাচ্ছেন। নিত্যযাত্রী দীপক কোলে রবিবার সকালে বিধাননগর স্টেশনে এসেছিলেন। ডানকুনি লোকাল ধরে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। টিকিট কেটে দাঁড়িয়েছিলেন বিধাননগর স্টেশনের আন্ডারপাসে। ঘোষণা শুনে সেই মতো প্ল্যাটফর্মে যাবেন বলে। কিন্তু কোনও ঘোষণা ছাড়াই ট্রেন চলে যাওয়ায় বহু যাত্রীর মতো তিনিও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি যথা সময়ে। দীপকবাবু বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা সবাই মিলে অ্যনাউন্সমেন্ট বিভাগে গিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, কীভাবে এটা হল? তাঁরা হাতজোড় করে ভুল স্বীকার করেছেন। ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের পরের ট্রেন ধরতে হয়েছে।’
শুধু দীপকবাবু নন, বিধাননগর স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা বহু মানুষই এরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী। বারাসতের সুভাষ দত্ত, দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা উমেশ যাদব বলেন, ‘বিধাননগর স্টেশনে আপ লাইনের ট্রেন ধরতে আমাদের প্রাণ হাতে দৌড়তে হয়। মাঝেমধ্যে কোনও ঘোষণা ছাড়াই ট্রেন চলে আসে। আবার অনেক সময় ট্রেন ঢোকার সামান্য আগে আচমকা প্ল্যাটফর্ম বদল করে দেওয়া হয়। তখন ফের আন্ডারপাস দিয়ে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। পড়িমরি করে দৌড়েও অনেকে ট্রেন পান না। নিত্যযাত্রীদের নিয়ে রেলের এই খামখেয়ালিপনা কবে শেষ হবে, কে জানে।’ এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘যাত্রী সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও পরিষেবার আরও উন্নতি করতে রেল নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।’