ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
বিকেলেও গরম হাওয়ার দাপট কমেনি। তাই অধিকাংশের ভরসা হাতপাখা। উডবার্ন ওয়ার্ডের সামনে ওয়াটার এটিএমে বোতলে জল ভরার লম্বা লাইন সর্বক্ষণ। এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘আমরা তো এখানেই প্লাস্টিক পেতে থাকি। সকালে এত রোদ যে, ওখানে বসতে পারি না। কোনও বিল্ডিংয়ের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকি। সেখানেও খুব ভিড় হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইরে এসে বসতে পারি না।’ প্রসূতি বিভাগের বাইরে সদ্যোজাতদের নিয়ে কেউ ছাতা মাথায় বসে। কেউ শিশুর সর্বাঙ্গ কাপড় দিয়ে ঢাকা দিয়ে গরম হাওয়া থেকে বাঁচাচ্ছেন। আবার দুপুরের রোদেও আউটডোরে লম্বা লাইন। তবে হাসপাতালের প্রতীক্ষালয়গুলিতে সবকটি পাখাই ঘুরছে এটাই স্বস্তির, বক্তব্য মানুষের। সরকারি হাসপাতাল শুধু নয়। চিকিত্সকদের চেম্বারেও একই দৃশ্য। সন্তানকে এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে এসেছেন মা। শিশুটির জ্বর ১০২। কোনও ইনফেকশন নেই। শরীরে ব্যথা। তবে চেম্বারে এক গ্লাস ওআরএস খাওয়ানো এবং এসি ঘরে ঠান্ডায় কিছুক্ষণ শুইয়ে রাখতেই অনেকটা সুস্থ। বিকেলে যে ঝিমিয়ে পড়া মহিলা এসেছিলেন এসএসকেএমে। তিনি বেরিয়ে এলেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বেহালা থেকে সুভাষগ্রামের বাড়িতে আসছিল ১০ বছরের ঈশিতা সর্দার। বাবার বাইকে চেপে আসার সময় অসুস্থ বোধ করে সে। বাড়ি ফিরে একপ্রকার সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ওই পড়ুয়া। এরপর তাকে বারইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা স্থিতিশীল হতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে ঈশিতা। বাড়ি আসতে আসতেই মৃত্যু হয় তার। অতিরিক্ত গরমের কারণেই এই ঘটনা কি না, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আবার সোমবার দুপুরে বড়বাজার থানা এলাকা থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক যুবকের মৃত্যু হল হাসপাতালে। মৃতের নাম প্রবন্ধ রানা (২৯)। বাগুইআটির অর্জুনপুরের থাকতেন তিনি। লালবাজার জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ অজানা। তবে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের অনুমান, হিট স্ট্রোকের জেরে মৃত্যু হয়েছে প্রবন্ধবাবুর।