পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলায় ৭৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু হয়েছে। চার হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে বাদাম হয়েছে। ৮৫০০ হেক্টরের মতো জমিতে মসুরির প্রদর্শনী ক্ষেত্র হচ্ছে। আট হাজার হেক্টর জমিতে খেসারি ও সম পরিমাণ জমিতে সর্ষের প্রদর্শনী ক্ষেত্র হচ্ছে। ধান কাটার পর অনেক জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। সেখানেই এই চাষ হবে।
জেলা কৃষিদপ্তরের অধিকর্তা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ বছর জেলায় বিকল্প চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা চাষিদের বীজ, ওষুধ দিচ্ছি। এই চাষ করে এখানকার চাষিরা ডাল ও তেলের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হচ্ছেন। তাছাড়া সেগুলি বিক্রি করে তাঁরা আয়ও করতে পারবেন। সর্ষে থেকে তেল তৈরি করাতে পারবেন চাষিরা। ভুট্টা খাওয়া হচ্ছে। ভুট্টা থেকে কর্নফ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। বাদাম থেকে ভোজ্য তেল তৈরি হচ্ছে। আবার সেগুলি বিক্রিও করতে পারছেন চাষিরা। পাশাপাশি প্রায় সারা বছর ধরেই এখানে ব্যাপকহারে সব্জি চাষ হচ্ছে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে মাচা করে সব্জি চাষ করা হচ্ছে। কয়েক ধাপে সব্জি চাষ হচ্ছে একটি জায়গাতেই। প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে লঙ্কা ও টোম্যাটো চাষ করা হচ্ছে। এই চাষ করে চাষিরা ভালো আয় করতে পারবেন। তাই তাঁদের নানাভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এ বছর ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১২ লক্ষ টন বর্ষাকালীন ধান উৎপাদন হতে চলেছে। যার ফলে এই করোনা পরিস্থিতিতেও চাষিদের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধান বিক্রি করে আয় করতে পারবেন চাষিরা। কিন্তু, শুধুমাত্র ধানের উপর নির্ভরতা নয়, বিকল্প চাষে চাষিদের স্বনির্ভর করতে সবরকমভাবে উদ্যোগী হয়েছে কৃষিদপ্তর।
মানবাজার-১ ব্লকের ধানাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজীব কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা কৃষকদের একটি গ্রুপে ১৭ জন রয়েছি। ৭০ বিঘা জমিতে আমরা তরমুজ চাষ করি। ২০বিঘা জমিতে টোম্যাটো চাষ করি। এখন তরমুজ চাষ হচ্ছে। এরপর সর্ষে লাগাব। আমাদের কৃষিদপ্তর থেকে বীজ ও সার দেওয়া হয়।