শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
কাটোয়া-১ ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক আজমীর মণ্ডল বলেন, আজকের দিনে এমন যুবক পাওয়া খুব মুশকিল। সুজনবাবুর উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমাদের দপ্তরে এলে আমরা যথাসম্ভব তাঁকে এবিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারি।
কাটোয়া-২ ব্লকের সিঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা সুজন কুণ্ডুর ছোট থেকেই গাছের প্রতি নেশা ছিল। বাবা উদয়চাঁদ কুণ্ডু তাঁকে উৎসাহ জোগাতেন। নিজের হাতে টবে লাগাতেন দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ। তারপরই নিজের বাড়ির ছাদে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ লাগানো শুরু করেন। সুজনবাবু বলেন, ছোট থেকেই গাছের প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল। তাই বাড়িতে আগে টাকা জমিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাতে শুরু করি। তারপর এখন গোটা ছাদজুড়ে আমার বাগান রয়েছে। বাগানে আমি এলাকার পড়ুয়াদের এনে বিভিন্ন প্রকার গাছ ও তারা কি ফুল বা ফল দেয় সেই সম্পর্কে ধারণা দিই। আমি মনে করি ছোট থেকে গাছের প্রতি ভালোবাসা থাকলে বড় হয়েও তারা গাছ লাগাতে পারদর্শী হবে।
সুজনবাবুর বাগানে ফলের মধ্যে আছে মালয়েশিয়া এর রাম্বুটান, ইউরোপের আভোগাঢ়, বাংলাদেশের মালতা লেবু, ইউকের আলুবখরা, থাইল্যান্ডের পেয়ারা, কুল, দেশীয় প্রজাতির মধ্যে আছে ন্যাসপাতি, কাশ্মীরি আপেল, কাশ্মীরি কুল, পুনের বেদানা, কালো পেয়ারা, লাল আতা, সিঙ্গাপুরের জাম। এছাড়াও ফুলের মধ্যে ফাস্ট লাভ, হাইডেন জিয়া, ইউএসএর জিমিয়া, লাল ফুরুস, মিল্ক ফুড। পাতাবাহারি প্রজাতির মধ্যে রয়েছে অ্যাজেলিয়া, আইভি, স্নেক প্ল্যান্ট, টাইগার প্লান্ট, ম্যারেন্টা, বেনারসি পান সহ প্রচুর প্রজাতির গাছ। এছাড়া রয়েছে বারুইপুরের পেয়ারা, বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড।
সুজনবাবু জানান, তাঁর এই বাগান তৈরি করতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই কাজে তাঁকে উৎসাহ দেন প্রতিবেশীরাও। সুজনবাবুর দাদা সুমন কুণ্ডু একজন প্রাথমিক শিক্ষক। তিনি বলেন, ভাইয়ের ছোট থেকেই গাছের প্রতি টান ছিল। একটা গাছ মরে গেলে সারাদিন ও মনমরা হয়ে থাকে। তাই ভাইয়ের হাতে তৈরি একফালি সবুজের বাগান যেন স্বর্গ। তাই আমরাও সময় পেলে ভাইয়ের বাগানে কিছুক্ষণ সময় কাটাই।